ক্যাম্পাস

ঢাবির সমাবর্তনে রেকর্ড সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট

রেকর্ড সংখ্যক গ্র্যাজুয়েটের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫১তম সমাবর্তন। এ বছর সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য ২১ হাজার ১১১ জন গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এ সংখ্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনের ইতিহাসে সর্বাধিক। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৯৬টি স্বর্ণপদক, ৮১ জনকে পিএইচডি এবং ২৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে। 

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ৫১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান সফল করতে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ৫১তম সমাবর্তন প্রচার উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। অধিভুক্ত সাত কলেজের রেজিস্ট্রেশনকৃত গ্র্যাজুয়েটরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।         

Advertisement

সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সভাপতিত্ব করবেন। এবারের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৯৬টি স্বর্ণপদক, ৮১ জনকে পিএইচডি এবং ২৭জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে। 

সমাবর্তন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, সমাবর্তন দিবস শিক্ষার্থীদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিবসটির জন্য শিক্ষার্থীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা একাডেমিক সার্টিফিকেট ও পদক গ্রহণ করে থাকেন। 

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এই সংস্কৃতি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। প্রতি বছর নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল শিগগিরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলেও তিনি জানান।

উপাচার্য বলেন, সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। সমাবর্তনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গ্র্যাজুয়েটদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য তিনি সর্বসাধারণ এবং স্বাভাবিক চলাচলকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।  

Advertisement

এমএইচ/এমআরএম/জেআইএম