দিনের প্রথম ওভারের শেষ বলে যখন শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হলেন লোকেশ রাহুল, তখনও কি কেউ ভেবেছিল, দিন শেষে কোথায় গিয়ে থামবে ভারত? শুরুতেই পুরো শিবিরে আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার পর শ্যানন গ্যাব্রিয়েলও ভাবতে পারেননি, দিন শেষে তাদেরকে কতটা হতাশা ঘিরে ধরবে। কারণ প্রথম দিন শেষে ভারতের স্কোর বোর্ডে যে জ্বলজ্বল করছে ৪ উইকেটে ৩৬৪ রান!
Advertisement
মাত্র ৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন। রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে এরপর স্বপ্নের মত ব্যাটিং করেছেন ভারতের বাকি দুই টপ অর্ডার। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা পৃত্থি শ তো আগেই ছিলেন আলোচনায়। কেউ কেউ বলছেন, ডন ব্র্যাডম্যান আর শচীন টেন্ডুলকারের পর আরেকটি মাস্টারক্লাস পেয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
পৃত্থি শ’র ব্যাটিং স্টাইল এবং অ্যাপ্রোচ ও অ্যাপ্লিকেশন এতটাই নিখুঁত যে, তার ব্যাটিং দেখার নেশায় স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিল হাজার হাজার সমর্থক। শেষ পর্যন্ত সমর্থকদের হতাশ করলেন না তিনি। মন ভরিয়ে দিলেন। অভিষেকে উপহার দিলেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। খেললেন ১৩৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
চেতেশ্বর পুজারার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছেন ২০৬ রানের জুটি। ৮৬ রান করে পুজারা আউট হলে ভাঙ্গে জুটিটি। এরপর পৃত্থি শ’র জুটিটা ছিল বিরাট কোহলির সঙ্গে। যদিও খুব বড় ছিল না। মাত্র ২৩ রানের। ১৫৪ বলে ১৩৪ রান করে দেবেন্দ্র বিশুর হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ভারতীয় তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমণ ধ্বনি তোলা এই ব্যাটসম্যান।
Advertisement
দিনের বাকি কাজগুলো আর দুটি জুটি গড়ে সেরে নেন বিরাট কোহলি। প্রথমে আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে গড়েন ১০৫ রানের এক অনবদ্য জুটি। এ সময় ৪১ রান করে আউট হয়ে যান রাহানে। দিনের শেষ ভাগে রিশাভ পান্তকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। তিনি ব্যাট করছেন ৭২ রান নিয়ে এবং ১৭ রানে ব্যাট করছেন রিশাভ পান্ত।
ক্যারিয়ারে ২৪তম সেঞ্চুরির জন্য কোহলির আর মাত্র প্রয়োজন ২৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, শেরমান লুইস, দেবেন্দ্র বিশু এবং রোস্টন চেজ।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement