জাতীয়

ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন পেতে ভিড়

ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন পেতে বৃহস্পতিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগরে মানুষের ঢল নামে। সকালে উদ্বোধনের পর থেকেই এখানে ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়। দুপুর পর্যন্ত উন্নয়ন মেলায় যারাই এসেছেন, তার বেশির ভাগই আসেন দুটি কাজের জন্য। কেউ আসেন পাসপোর্ট নিতে, কেউ মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে।

Advertisement

শেরেবাংলা নগরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অস্থায়ী মাঠে বসেছে ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা। মেলার মূল ফটক ধরে মঞ্চের বা পাশে বটতলার দিকে পাওয়া যাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্টল। এ স্টলেই দেয়া হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের সেবা। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এ সেবা দেয়া হয়।

দুপুরে যত মানুষ এই স্টলে দেখা যায় অন্য স্টলে এতটা ভিড় ছিল না। বিআরটিএ'র স্টলের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা সাজিদ বলেন, এ পর্যন্ত ২৪ জনকে সেবা দেয়া হয়েছে। একজন মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করেছেন, বাকি সবাই ড্রাইভিং লার্নার লাইসেন্স নিয়েছেন।

তিনি বলেন, অনেক ভিড়, কিন্তু অনেকে প্রয়োজনীয় সব কাগজ নিয়ে আসেননি বলে রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে না। কাগজপত্র ঠিক থাকলে মুহূর্তেই পাওয়া যাবে এসব সেবা।

Advertisement

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে-

কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত আবেদন ফরম এখানে goo.gl/cebTnC পাওয়া যাবে। গ্রাহকের এক কপি পাসপোর্ট এবং তিন কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি লাগবে। নিবন্ধিত ডাক্তার কর্তৃক স্বাক্ষরিত মেডিকেল সার্টিফিকেটের এক কপি (ফরমে ২য় পৃষ্ঠায়) লাগবে।

সেই সঙ্গে থাকতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন বা এসএসসি বা পাসপোর্টের সত্যায়িত অনুলিপির এক কপি। ঠিকানার প্রমাণক হিসেবে বর্তমান ঠিকানার গ্যাস, টেলিফোন বা বিদ্যুৎ বিলের সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে। নির্ধারিত ফি জমার রশিদ (শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান তথা প্রাইভেটকার) ৩৪৫ টাকা আর উভয়ক্ষেত্রে ৫১৮ টাকা।ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ এর আওতাধীন ১৯টি থানার জনগণকে এ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে-

Advertisement

ডিলার বা বিক্রেতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এইচ ফরমে আবেদন করতে হবে। গাড়ির মালিকের তিন কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি। শো-রুম/ বিক্রেতা কর্তৃক সত্যায়িত বিল অব এন্ট্রি, ইনভয়েস, বিল অব লেডিং, এলসিও কপি, সেল সার্টিফিকেট বা সেল ইন্টিমেশন, বিক্রয় প্রমাণপত্র।

সিকেডি মোটরযানের ক্ষেত্রে প্যাকিং লিস্ট, ডেলিভারি চালান, গেট পাস, বিআরটিএ’র টাইপ অনুমোদন ও এর সংযোজনী তালিকা। মূসক-১১ বা ভ্যাট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ভ্যাট প্ররিশোধের চালান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। নির্ধারিত ফি জমার রশিদ। জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট এবং টেলিফোন বিল বা বিদ্যুৎ বিলের সত্যায়িত ফটোকপি। মালিক প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি।

১২৫ ও তদূর্ধ্ব সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা। এ ছাড়া মোটরযান পরিদর্শন কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য মোটরসাইকেল অবশ্যই আনতে হবে।

উল্লেখ্য, এবারের উন্নয়ন মেলায় মোট ৩৩০টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০টি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ১৯টি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৬টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৬টি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০টি এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ৯টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করা হচ্ছে।

এমএ/জেডএ/এমএস