বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) আর নতুন কোনো গভীর নলকূপ বসানো হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী। তিনি যোগদানের পরে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।তবে গভীর নলকূপের পরিবর্তে এর বিকল্প হিসেবে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার বাড়ানো হবে। সেইসঙ্গে শুধু ধান উৎপাদনের দিকে কৃষকদের উৎসাহিত না করে অন্যান্য ফসল উৎপাদনেও উৎসাহিত করা হবে। যাতে করে পানির অপচয় কম হয়। এসময় তিনি আরো বলেন, বিএমডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে অবহেলার শিকার হয়ে আছেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার জের ধরে সচিবের কালো হাত ভেঙে দাও স্লোগান দেওয়া ঠিক হয়নি। এটি গর্হিত কাজ।চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিএমডিএকে নতুন করে ঢেলে সাজনো হবে। এখানে কোনো সিন্ডিকেট রাখা হবে না। এটি পরিচালনার জন্য নতুন অর্গানোগ্রাম তৈরি করা হবে।বিএমডিএ সূত্র মতে, গত ২৯ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নওগাঁ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আকরাম হোসেন চৌধুরীকে বিএমডিএর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর গত ২ আগস্ট তিনি মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। গত বুধবার আকরাম হোসেন চৌধুরী ঢাকা থেকে বিমানযোগে রাজশাহীতে এসে পৌঁছেন। এরপর রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরে চেয়রাম্যান আকরাম হোসেন চৌধুরীকে ফুলেল সংবর্ধনা দেন বিএমডিএর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওই সময় বিএমডিএর সচিব আব্দুস সামাদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও বলে স্লোগান দেন। এর আগে গত ২৭ জুলাই বিএমডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পদোন্নতিসহ সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধার দাবিতে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করেন। এরপর তারা শুধুমাত্র আইনি নথি ছাড়া সব কাজ স্থগিত করে আন্দোলন করতে থাকেন।বিএমডিএর সচিব আব্দুস সামাদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এ নিয়ে সচিবের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সচিবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা। শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/পিআর
Advertisement