জাতীয়

কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কওমি মাদরাসার ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ ছিল না। তারা কি করতো কোথায় যেত কোনো ঠিকানা ছিল না। আমি তাদের জন্য ভবিষ্যৎ ঠিকানা করে দিয়েছি।

Advertisement

বুধবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার কোনো শত্রু ছিল না। তবে হ্যাঁ ওই হেফাজতের ঘটনার রাতের আগে খালেদা জিয়া সবাইকে আহ্বান জানালেন আপনারা সবাই ঢাকা চলে আসেন। আমার মতো চেষ্টা করেছি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য। ওই রকম পরিস্থিতি যেন বাংলাদেশে না ঘটে। খালেদা জিয়া তাকে ওপেন সমর্থন দিয়েছিলেন, জামায়াত আল্লামা শফীকে সমর্থন দিয়েছিল। তিনি বলেন, ওই রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরসহ মানুষ যে টেনশনে ছিল তাদের তো টেনশনমুক্ত করেছি। এজন্য আমি তো ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। সে সময় অনেকে বলেছে আমি তো ধর্মই বিশ্বাস করি না। এ রকম একটা ভাবনা অনেকের মধ্যে ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদরাসা শিক্ষার ব্যাপারে বলবো যে, ওখানে লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করে। তাদের কোনো স্বীকৃতি ছিল না। তারা নিজেরা নিজেদের মতো করে জীবন যাপন করতো।

আরও পড়ুন : কওমির দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের মর্যাদা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন, উপমহাদেশে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় মাদরাসা দিয়ে। হিন্দু ধর্মের জন্য টং থেকে। কাজেই এটাকে একবারে বাদ দেয়া যাবে না। কারণ ১৪ থেকে ১৫ লাখ ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শিখছে। তাদের জন্য ভবিষ্যৎ ঠিকানা করে দিয়েছি।

Advertisement

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইওর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া সংবর্ধনা সভায়ও যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রদত্ত সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয়দানের মাধ্যমে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করায় তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়। পাশাপাশি দূরদৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন-এর পরিচালনা পর্ষদ তাকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনাইজেশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে।

Advertisement

এফএইচএস/এমআরএম/জেআইএম