জাতীয়

মিয়ানমার ‘হ্যাঁ-হ্যাঁ’ বলে কাজের বেলায় ‘না’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার হ্যাঁ-হ্যাঁ বলে কিন্তু কাজের বেলায় কিছু না। বুধবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। বিদেশি সংস্থাগুলোও সহযোগিতা করছে। ভাসানচরে ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে, লোকের তালিকাও করা হয়েছে আর তারা যেন মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে সে ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে চীন জাপানসহ অনেক দেশ এগিয়ে আসছে। মিয়ানমার বলে রেডি আর যখন আমরা রোহিঙ্গা পাঠাতে চাই তখন কোথায় যেন বাধা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনতে আমরা থেমে নেই, কাজ করছি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যখন আমার দেখা হয়েছিল তখন এ বিষয়ে তাকে বলেছি। তিনি বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং নোট নিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা আশাবাদী বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর করেছেন। এ সফরকালে তিনি বেশ কিছু প্রাপ্তিসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক ও তার ফলাফল বিস্তারিত তুলে ধরেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইওর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া সংবর্ধনা সভায়ও যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রদত্ত সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয়দানের মাধ্যমে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করায় তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়। পাশাপাশি দূরদৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন-এর পরিচালনা পর্ষদ তাকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনাইজেশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে। এএস/এআর/এমএস

Advertisement