সিলেট-৩ আসনের (দক্ষিণ সুরমা-বালাগঞ্জ একাংশ) সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন মনোয়ারা বেগম নামে এক নারী।
Advertisement
বুধবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য জেলা হাকিম ৫ম আদালতে ওই নারী মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা মুমু চৌধুরী মামলার শুনানি শেষে আদেশ না দিয়ে অপেক্ষায় রেখেছেন।
মামলা দায়েরকারী মনোয়ারা বেগম ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কে এস টিল্লা এলাকার মৃত আফাজুল ইসলামের স্ত্রী। বাদী অভিযোগে এমপি কয়েসকেই একমাত্র আসামি করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহসিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বাদী মনোয়ারা বেগম মামলার আবেদনে আদালতের কাছে তার প্রবাসী ছেলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা আশফাকুল ইসলাম সাব্বিরকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনেছেন এমপি মাহমুদ সামাদ চৌধুরী কয়েসের বিরুদ্ধে। তিনি আমার মক্কেলকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন প্রকাশ্যেই। আইনের ৫০০/৫০৬ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন তিনি। আমরা এ বিষয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছি।
Advertisement
মামলার বাদী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জের পিটাইটিকর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আমার ছেলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা আশফাকুল ইসলাম সাব্বিরকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন এমপি কয়েস। পাশাপাশি তিনি প্রকাশ্যে আমার ছেলেকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। সেদিন প্রকাশ্যে তিনি বলেছিলেন- ‘আমি সংসদ সদস্য হয়ে ডাণ্ডাবেরি পড়ে আছি। যেদিন ডাণ্ডাবেরি থাকবে না সেদিন আমি ফেঞ্চুগঞ্জে প্রকাশ্যে দাঁড়াবো। সবকিছু চুরমার করে দেব।’
মনোয়ারা বেগমের দাবি, সেদিন এমপি কয়েস নিজেকে খুনীর স্বঘোষিত রক্ষক হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন, একজন খুনিকে আমি পার করে দিয়ে কবিরা গুনাহ করেছি। এবার বিল জলমহালে আরও ৫টি খুন হবে।
ওইদিনের জনসভায় এমপি কয়েস আরও বলেছিলেন, ‘আমি খারাপ মানুষ ছিলাম। এমপি হয়ে ভালো হয়েছি। নির্বাচনে ফেল করিয়ে পুনরায় আমাকে খারাপ মানুষ হিসেবে জন্ম দিবেন না।’
মনোয়ারা বেগম মামলায় আবেদনে উল্লেখ করেছেন, সেদিন সভা মঞ্চ থেকে নেমে এমপি সামাদ তাকে ও তার স্বামীকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজও করেছেন।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/আরএআর/জেআইএম