মাত্র কয়েকদিন আগেই এক বিএসএফ জওয়ানকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে ভারত। তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় সীমান্তের কাছ থেকে। এবার পাক সেনাবাহিনীর বিশেষ দল বর্ডার অ্যাকশন টিম আরও বড়সড় হামলার ছক কষছে বলে দাবি করেছে ভারত।
Advertisement
আগেও ভারতীয় সেনা জওয়ানদের নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বর্ডার অ্যাকশন টিমের। সব ধরনের নৃশংস কাজ করার ট্রেনিং দেওয়া হয় এদের। ধড় থেকে মুণ্ড কিভাবে আলাদা করতে হয় সেটাও নাকি শেখানো হয়। সেই বাহিনীই এবার ভারতের উপর বড়সড় হামলা চালাতে তৈরি হচ্ছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি নিউজের এক খবরে প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এবছর শীত আসার আগেই সেই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ করার ছক কষছে পাক সেনারা। একইসঙ্গে ৫০ জন পাক জওয়ানকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অধিকৃত কাশ্মিরের মুজাফফরাবাদে আরও ৮০ থেকে ৯০ জনকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান চাইছে প্রাথমিকভাবে লস্কর ও জয়েশ জঙ্গিদের রেশিয়ান ও কাদলান গলি দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে। সেখানে ভারতীয় সেনারা সংঘাতে ব্যস্ত থাকবে। এরপর উরি সেক্টরে ভারতীয় সেনাদের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে তারা। এমনকি এই হামলার জন্য, জুরা ও জব্বর ভ্যালিতে বাংকারও তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অধিকৃত কাশ্মিরের কানজালোয়ান গ্রামে সাধারণ মানুষকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বাকারওয়াল উপজাতিদেরও এলাকা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এই বাহিনীকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হল ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে এমন নৃশংস কাজ করা যাতে , তারা এগোতে ভয় পায়। বিএসএফকে আতঙ্কিত করে দেওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য। বেশ কয়েকবার এই ধরনের হত্যালীলা চালিয়েছে পাক সেনারা। যদিও এই বাহিনীর কথা অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়ার বিকৃত দেহ ভারতে পাঠায় পাকিস্তান। সম্প্রতি নরেন্দ্র সিং নামে এক বিএসএফ জওয়ানকেও একইভাবে হত্যা করা হয়েছে।
টিটিএন/পিআর