জাতীয়

‘গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু’

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রদূত ও অহিংস আন্দোলনের প্রতীক মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ অনুসরণের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আর বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই অহিংস আন্দোলনই বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ও শিক্ষা সারা বিশ্বের মানব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

Advertisement

ভারতীয় হাইকমিশনে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।

মঙ্গলবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন ও গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট যৌথভাবে মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

Advertisement

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, গান্ধীজী সারা জীবন অহিংস আন্দোলন করেছেন। শান্তির বাণী শুনিয়েছেন। বর্তমান বিশ্বে যখন উগ্রাবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, তখন গান্ধীর আদর্শ আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তার আদর্শ অনুসরণের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ও শিক্ষা সারা বিশ্বের মানব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই অহিংস আন্দোলনই বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।

গান্ধীজীর আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বদেশ রায় বলেন, গান্ধীজী অহিংসার বাণী শুনিয়েছেন। তারও আগে গৌতম বুদ্ধ অহিংসার কথা বলেছেন। তবে এখানে পার্থক্য হলো গান্ধীজী ধর্ম প্রচার করেননি। তিনি রাজনীতি করেছেন। তিনি জাগতিকভাবেই অহিংসার আদর্শ ছড়িয়ে গেছেন। বর্তমান বিশ্বে আজও মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও মহাত্মা গান্ধীর দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহাত্মা গান্ধীর ওপরে নির্মিত একটি তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া গান্ধীজীর প্রিয় ভজন ও রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

Advertisement

জেপি/জেএইচ/এমএস