খেলাধুলা

লোকাল বয়দের ভালো খেলার প্রতিজ্ঞা

সড়ক দূর্ঘটনায় সা’দ উদ্দিন আহত না হলে জাতীয় ফুটবল দলে সিলেট জেলার থাকতেন ৫ সদস্য। এখন আছেন চারজন- বিপলু আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুফিল, মাসুক মিয়া জনি ও মতিন মিয়া। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে তাদের নিজ শহরে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ। সোমবার লাওসের বিরুদ্ধে একাদশে ছিলেন মতিন মিয়া বাদে বাকি তিনজন।

Advertisement

লাওসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিতেছে স্থানীয় খেলোয়াড় বিপলুর গোলে। জয়ের নায়ক হতে পারতেন সুফিল। একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন এই ফরোয়ার্ড। শেষ রক্ষা বিপলুর সুযোগ সন্ধানী এক গোলে। ম্যাচের পর বিপলুকে নিয়ে সিলেটবাসীর সে কী উচ্ছ্বাস।

মঙ্গলবার মধ্যাহ্ন ভোজের আগে টিম হোটেলে মাসুক মিয়া জনি ও বিপলু আহমেদ একসঙ্গেই সময় কাটালেন লবিতে। মিডিয়ার বেশি আগ্রহ ছিলো বিপলুকে নিয়েই। থাকাটাই স্বাভাবিক। লাওসকে হারানোর গল্পটা তাদের বারবার শোনাতে হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের।

২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে সিলেট পৌঁছানোর পর স্থানীয় একদল যুবক বিমান বন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন তাদের জেলার চার ফুটবলারকে। পঞ্চাশের বেশি মটর সাইকেল নিয়ে যুবকরা বিমান বন্দর থেকে শহরে ফিরেছেন টিম বাসের আগে পিছে-থেকে। ওই দৃশ্য মনে দাগ কেটেছিল সুফিল, জনি, বিপলু আর মতিনদের মনে। ‘আমরা ম্যাচের আগের রাতে বসেছিলাম সিলেটের চারজন। ছোট একটা সভা। সেটা ছিলো বিপলুর কক্ষে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজেদের মধ্যে ভালো খেলার তাগিদ তৈরি করা’-বলছিলেন মাসুক মিয়া জনি।

Advertisement

জনির মতো বিপলুরও একই কথা, ‘আমরা নিজেরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ভালো খেলতে হবে। এই মাঠ আমাদের অনেক পরিচিত। এ মাঠের কাদামাটি গায়ে মেখেই ফুটবলার হয়েছি। এ মাঠেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ভালো খেলতে হবে। আমরা তিনজন যখন একাদশে সুযোগ পাই, তখনো প্রতিজ্ঞা পুনরাবৃতি করেছিল ভালো খেলার। আমরা চেয়েছিলাম স্থানীয় দর্শকদের খুশি করার।’

দেশকে জেতানোর পর থেকেই অনেক ফোন পেয়েছেন বিপলু, ‘আমাকে অনেকে ফোন করে হোটেলে আসার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি হইনি। কারণ, আমরা এখন খেলার মধ্যে মনসংযোগ রাখতে চাই। তাই সবাই ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছে। কেউ কেউ ভিডিও কলে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন।’

আরআই/আইএইচএস/পিআর

Advertisement