চোরাচালান বন্ধে ভারতীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইনফেস্টিগেশন এজেন্সি’(এনআইএ) এর মতো একটি সংস্থা গঠন করতে চায় পুলিশ। যে সংস্থা চোরাচালান বন্ধে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেছুর রহমান এক কথা বলেন।তিনি বলেন, ভারত সরকার জাল টাকার চোরাচালানে উদ্বিগ্ন। সে জন্য ইতোমধ্যে জাল টাকাসহ সব ধরণের চোরাচালান বন্ধে ভারত সরকার তাদের ‘জাতীয় তদন্ত সংস্থা’ এনআইএ-কে সবধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিয়েছে। যে কারণে এনআইয়ে নিজেদের মতো করে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশেও এনআইএ-এর মতো একটি তদন্ত সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন যে সংস্থা শুধু চোরাচালান বন্ধে কাজ কাজ করবে।এ ধরণের একটি সংস্থা গঠনে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা সরকারকে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।তিনি বলেন, জাল টাকা, মাদক, স্বর্ণসহ সবধরণের চোরাচালান বন্ধে ভারতের ন্যাশনাল ইনফেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চোরাচালান বন্ধে ভারত সব ধরণের টেকনিকেল সাপোর্ট দিতে সম্মতি দিয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ন্যাশনাল ইনফেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) প্রধান এস কে সিং, এনআইএ এর কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা মহানগরে যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম, সিআইডি’র বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহেল বাকী, সিআইডি’র কর্মকর্তাবৃন্দ।উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের সম্মতিক্রমে ফেইক কারেন্সি (জাল টাকা) অপতৎপরতা বন্ধে যৌথ টাস্কফোর্স গঠিত হয়। এই টাস্কফোর্স বছরে দুইবার সম্মেলনে মিলিত হয়। গতবার ভারতে সম্মেলন হয়েছে। এবার বাংলাদেশে হচ্ছে। গত বুধবার দুই দিনের এ সম্মেলন শুরু হয়।জেইউ/আরএস/এমআরআই
Advertisement