ক্যাম্পাস

উপহার দেয়া গাড়ি থেকে মুছে দেয়া হলো খালেদার নাম

উপহার দেয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস থেকে খালেদা জিয়ার নাম মুছে দিয়েছে প্রশাসন। ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

১৯৯৫ সালে খালেদার উপহার দেয়া একটি বাস থেকে তার নাম মুছে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ১৯৯২ সালে দেয়া অন্য আরও একটি বাস থেকে তার নাম মুছে ফেলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানা যায়।

প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম। তবে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপাচার্যের কাছে লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু এর কোনো প্রতিকার করেনি প্রশাসন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ১৯৯২ ও ১৯৯৫ সালে দুটি বড় বাস উপহার দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ওই সময় তার সম্মানে গাড়িতে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপহার’ লিখে দেয়া হয়। সম্প্রতি ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালে দেয়া বাস (কুষ্টিয়া, চ-০৮-০০০৩) থেকে খালেদা জিয়ার নাম মুছে দিয়ে শুধু ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা হয়। একই সঙ্গে ১৯৯২ সালে দেয়া অন্য বাসটির থেকে (কুষ্টিয়া, চ-০৮-০০০২) নাম মুছে দেবার উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহের একটি গ্যারেজে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

এ ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদ ও শাখা ছাত্রদল। সোমবার জিয়া পরিষদের সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এর আগে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এম এয়াকুব আলী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পুনরায় খালেদা জিয়ার নাম লেখার দাবি জানিয়েছেন।

জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এম ইয়াকুব আলী জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমরা মার্জিত ভাষায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেদা জিয়ার নাম সংযোজন করতে বলেছি। প্রশাসন নাম সংযোজন করলে এটা তাদের জন্য সাহসী পদক্ষেপ হবে।

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, অনেক গাড়ি নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে। এতে খালেদার নাম মুছে গেছে। দেশের অনেক স্থান থেকে বিভিন্ন নাম মুছে দেয়া হয়েছে। আমাদের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর কথা বলতে হবে। অযৌক্তিক কিছু বলার সুযোগ নেই।

Advertisement

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/এএম/এমএস