খেলাধুলা

ঘরের মাঠে প্রথম দিনে রাজশাহীর দাপট

জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) প্রতিবারই শক্তিশালী দল গড়ে খুলনা। কাগজে-কলমে তাদেরকেই ধরা হয় টপ ফেবারিট দল। তবে এনসিএলের নতুন আসরের প্রথম আসরে খুলনার এই টপ ফেবারিট তকমাকে পাত্তাই দেয়নি আরেক শক্তিশালী দল রাজশাহী।

Advertisement

ঘরের মাঠ শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে চালকের আসনে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। বোলিংয়ে শফিউল-দেলোয়ার, ব্যাটিংয়ে মিজানুর-শান্তদের দাপটে প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরাই। দিন শেষে খুলনার করা ২১০ রানের জবাবে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ১২২ রান করে ফেলেছেন রাজশাহী।

শফিউল ইসলাম প্রথম ইনিংসে এবারের আসরের প্রথম পাঁচ উইকেট নিলে ২১০ রানে থেমে যায় খুলনার ইনিংস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৯তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের সংগ্রহটা ভদ্রস্থ করেন তুষার ইমরান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১১৭ রান করেন মিজানুর রহমান ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিন শেষের ঠিক আগে দিয়ে তরুণ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। ৮৬ বলের ইনিংসে ৬ চারের মারে ৪৬ রান করেন তিনি। তবে অপরপ্রান্তে টিকে থাকেন মিজানুর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের দশম ফিফটিতে ৭৪ রান করে দশম ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। তিন নম্বরে নামা জুনায়েদ সিদ্দিকীর সংগ্রহ ১ রান।

Advertisement

এর আগে এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান খুলনার বর্ষীয়ান ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা খুলনার ইনিংসকে ভদ্রস্থ করার একক কৃতিত্বটাও ৩৪ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যানের।

রাজশাহীর পেসার শফিউল ইসলাম ও ফরহাদ রেজাদের বোলিং তোপে মাত্র ৫৫ রানেই সাজঘরে ফিরে যায় খুলনার পাঁচ ব্যাটসম্যান। প্রথমে সৌম্য সরকার ও পরে নাহিদুল ইসলামের সাথে জুটি গড়েন তুষার।

সৌম্যের সাথে ৪৯ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাঁহাতি তরুণের অবদান মাত্র ১৩ রান, নাহিদুলের সাথে ৮৮ রানের অষ্টম উইকেট জুটিতে বাঁহাতি স্পিনার করেন মাত্র ২৬ রান। পুরো ইনিংস জুড়েই তুষার আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন রাজশাহীর বোলারদের বিপক্ষে। পঞ্চাশতম ওভারে আউট হন দেলওয়ার হোসেনের বোলিংয়ে জহুরুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

আউট হওয়ার আগে মাত্র ১৪৪ বলের ইনিংসে ক্যারিয়ারের ২৯তম প্রথম শ্রেণীর শতকে করেন ১০৪ রান। ১৪টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কা হাঁকান তুষার। তিনি সেঞ্চুরি হাঁকালেও খুলনার ইনিংস খুব বেশি বড় হয়নি। শফিউল ইসলাম ৫টি, দেলওয়ার হোসেন ও সানজামুল ইসলাম ২টি করে এবং ফরহাদ রেজা একটি উইকেট নিলে মাত্র ২১০ রানেই অলআউট হয়ে যায় খুলনা।

Advertisement

এসএএস/এমএস