জাতীয়

তফসিলের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের : কবিতা খানম

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, তফসিলের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে মাথায় রেখেই তফসিলের তারিখ ঘোষণা করবে। তিনি বলেন, এ ধরনের আলোচনা এখনও কমিশনে হয়নি, কমিশন সভায় তারিখ নির্ধারণ করা হবে। সভার পরে তা ঘোষণা করা হবে।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোমবার নির্বাচন কমিশনের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি। এর আগেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিলেন। পরে সামালোচনার মুখে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। কবিতা খানম বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করে এই কথা বলেছেন বলে আমি মনে করি না। আইনিভাবে নিজেদের শক্তিশালী মনে করেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যমান সবগুলো আইনই অত্যন্ত শক্তিশালী। আমরা যদি এর প্রয়োগ করি, তবে অবশ্যই শক্তিশালীভাবেই প্রয়োগ করা হবে। কারণ আইনের প্রয়োগটাই আসল। অনেক শক্ত আইন করে তার প্রয়োগ না করলে আইন যতই শক্তিশালী হোক, ফল পাওয়া যায় না। আইন যেহেতু আছে, প্রয়োগ অবশ্যই হবে।

ইভিএম প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) ইভিএমের বিষয়ে একটি প্রস্তাব রয়েছে। ম্যানুয়ালের পাশাপাশি এটি ব্যবহার করা হবে। কমিশন যদি মনে করে, অল্প পরিসরে সীমিতভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তবেই ব্যবহার করা হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কতটুকু দক্ষ জনবল পাচ্ছি এবং কতটুকু ভোটারদের সচেতন করতে পারছি, তার ওপর নির্ভর করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কতটুকু পর্যায়ে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের ফলাফলও খারাপ নয়। সেখানেও তেমন অভিযোগ ওঠেনি। ইভিএম আইনি স্বীকৃতি পেলে ম্যানুয়ালে আইনের অপব্যবহারের ফলে যে শাস্তির বিধান ছিল, ইভিএমের ক্ষেত্রেও একই রাখা হয়েছে।’

Advertisement

আরপিওতে ১০ থেকে ১২টি সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে নির্বাচনের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ ছিল, আগে একসেপ্টেন্সের (গ্রহণযোগ্যতা) বিরুদ্ধেও আপিলের সুযোগ ছিল, তবে আইনে ছিল না। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার একটা বিষয় আছে। ঋণখেলাপিদের সাত দিন আগে যেটা ছিল, এখন সেটা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগের দিন পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আচরণ বিধিমালাতে একটি বিধি আছে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কথা বলা আছে। সেখানে বলা আছে, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে “গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা” নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। এটা বিদ্যমান আইনেই আছে। তফসিল ঘোষণার পরে আমরা বিষয়গুলো দেখব। বিধিবহির্ভূত যদি কিছু করা হয়, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অ্যাকশন নেয়ার সুযোগ তো আছেই। এখনও তফসিল ঘোষণা হয়নি। তফসিল ঘোষণার পরেই কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, সেই বিষয়টা দেখবে। তার আগে দেখবে না।’

এইচএস/এসআর/এমএস

Advertisement