খেলাধুলা

পাকিস্তানের বিপক্ষেই ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশের যুবারা

যুব এশিয়া কাপের উদ্বোধনী দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একপ্রকার উড়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। লঙ্কান যুব দলের বিপক্ষে ৬ উইকেটের হারে শুরু হয় টাইগার যুবাদের এশিয়া কাপ। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের দল।

Advertisement

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশের যুবারা। পাকিস্তানি যুবাদের করা ১৮৭ রানের লক্ষ্য ৪৭.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যান বাংলাদেশ।

১৮৮ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার তানজিদ হাসান ফিরে গেলে ভয় ঢুকে যায় বাংলাদেশ শিবিরে। তবে বেশ সাবলীলভাবেই ভয়কে জয় করেন প্রান্তিক নওরোজ মঙ্গল ও শামীম হোসেন। তিন নম্বরে নেমে প্রান্তিক করেন দলের পক্ষে প্রথম ফিফটি। দ্বিতীয় উইকেটে সাজ্জাদ হোসেনকে সাথে নিয়ে গড়েন ২৯ রানের জুটি।

চার নম্বরে ব্যাট করে নেমে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক তৌহিদ। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রানের ইনিংস। মাত্র ৪২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন শামীম ও প্রান্তিক। দুজন মিলে গড়েন ৯৭ রানের জুটি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিলো এ জুটিতেই ম্যাচ জিতে যাবে বাংলাদেশ।

Advertisement

তবে দলীয় ১৩৯ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন প্রান্তিক। চারটি চারের মারে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রানের ইনিংস। প্রান্তিক ফিরে গেলেও দলের দায়িত্ব নিয়ে এগুতে থাকেন শামীম। খানিকপর তিনিও তুলে নেন নিজের পঞ্চাশ। তবে দলের জয় নিশ্চিত করে যেতে পারেননি তিনি।

জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন শামীম। মাঠ ছাড়ার আগের বলটিতেও মারেন বিশাল এক ছক্কা। সবমিলিয়ে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। নিজের ইনিংসে ৫টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কা হাঁকান শামীম।

শেষদিকে মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে ভীতি জাগিয়েছিল পাকিস্তান। তবে উইকেটরক্ষক আকবর আলি এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ৩১ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৮ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে মাত্র ১৮৭ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওয়াকার আহমেদ। এছাড়া ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার সাইম আইয়ূব।

Advertisement

বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। কিপটে বোলিংয়ে ২ উইকেট নেন ১৭ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট দখল করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, অভিষেক দাস ও রাকিবুল হাসান।

এ জয়ের ২ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ২ ম্যাচের ২টিতেই জেতা শ্রীলঙ্কা রয়েছে সবার উপরে। বাংলাদেশের সমান ২ পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশের উপরে অবস্থান করছেন পাকিস্তান।

মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের যুবারা। সেমিফাইনালে যেতে এই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে গ্রুপের অন্য ম্যাচের ফলাফলের দিকে। সে ম্যাচে লড়বে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম দুই দল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান।

এসএএস/পিআর/এমএস