ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া অদম্য মেধাবী সেই নাজমুলের ভর্তির দায়িত্ব নিলেন কুষ্টিয়ার নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভির আরাফাত পিপিএম।
Advertisement
রোববার জাগোনিউজ২৪.কম'এ ‘দিনমজুরী করে জিপিএ-৫, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও হতাশ নাজমুল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ সুপার বিষয়টি নজরে নিয়ে নাজমুলকে সহায়তা প্রদানের ইচ্ছা পোষণ করেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাজমুলকে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদানের বিষয়টি জানানো হয়।
আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নাজমুলকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে আলাপকালে পুলিশ সুপার জাগো নিউজকে বলেন, অনলাইনসহ পত্র-পত্রিকায় নাজমুলের বিষয়টি দেখে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি অর্থাভাবে নাজমুলের মতো অদম্য মেধাবী একজন ছাত্র চান্স পেয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি ছেলেটিকে সহযোগিতা করার।
Advertisement
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যাওয়া-আসাসহ যা খরচ লাগবে সেই খরচ দেয়ার পাশাপাশি নাজমুল যাতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে তার সব ব্যবস্থা তিনি করবেন।
এদিকে নাজমুলকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কুষ্টিয়ার মৌবন সুইটস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে যতদিন পড়ালেখা শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত নাজমুলকে মাসিক ২৫০০ টাকা করে সহায়তা প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক সাবিনা আঞ্জুম জনি রোববার নাজমুলের উপস্থিতিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ ঘোষণা দেন।
প্রাইভেট টিউশনি আর দিনমজুরি করে সংসারের ঘানি টেনেও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ লাভ করে অদম্য মেধাবী নাজমুল।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নাজমুল মেধা তালিকায় ৪৭৬ নম্বরে রয়েছে।
Advertisement
নাজমুল জানায়, অনেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য ভালো কোচিং-এ ভর্তি হয়। অনেক পড়াশোনা করে। কিন্তু অভাবের কারণে সে কোচিং করার কোনো সুযোগ পায়নি। প্রাইভেট টিউশনির পাশাপাশি যতটুকু সময় পেয়েছে বাড়িতে পড়াশোনা করেছে। অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
আল-মামুন সাগর/এমএএস/জেআইএম