যশোরের বেনাপোলে নিজের নামে বড় ডিগ্রি ও বিশেষজ্ঞ ব্যবহার করে বিল্লাল হোসেন (৪০) নামের এক পল্লী চিকিৎসক প্রতারণার মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছেন। বিল্লাল হোসেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে পল্লী চিকিৎসক বিল্লাল দুই স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার সাদীপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। বেনাপোল বন্দরের ৬নং গেটের সামনে মিজানুর ফার্মেসি নামের একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজের নামের পাশে এমবিবিএস, ইটিআইএএম-কলকাতা (ইন্ডিয়া), আরএমপি (ঢাকা) এসব ডিগ্রি ব্যবহার করেন।
সেই সঙ্গে মা ও শিশু, চর্ম ও যৌন রোগে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লিখে একটি ওষুধের দোকান খুলে চিকিৎসা শুরু করেন। এই সুযোগে তার কাছে চিকিৎসার জন্য আসা কয়েকজন লোকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
একপর্যায়ে ওষুধের দোকান করবে বলে বেনাপোল পোর্ট থানার গাজিপুর পশ্চিম পাড়ার রাশিদা বেগমের কাছ থেকে কয়েক দফায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
Advertisement
পাশাপাশি অন্যান্য রোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন আরও ৮ লাখ টাকা। এরপর কৌশলে বেনাপোল ত্যাগ করেন তিনি। কাউকে বুঝতে না দিয়ে দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের আগেই বেনাপোল থেকে নিয়ে যান। গত তিনদিন তার ফার্মেসি বন্ধ থাকায় রোগীদের সন্দেহ হয়। পরে সাদীপুর বাড়িতে গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার ঝিকরগাছার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেখানেও যাননি তিনি।
সর্বস্ব হারানো রাশিদা বেগম বলেন, অসহায়ভাবে প্রতারক চিকিৎসক বিল্লাল আমার কাছে আসে এবং ওষুধের দোকান করবে বলে কয়েক দফায় মোট ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে জানতে পারি আমার মতো আরও কয়েকজনের কাছ থেকে একই কথা বলে আরও ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর উধাও হয়ে যান।
এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক বিল্লালের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার এসআই মতিয়ার রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
মো. জামাল হোসেন/এএম/জেআইএম