খেলাধুলা

তামিমের সুস্থ হতে লাগবে ৭ থেকে ৮ সপ্তাহ

কব্জির ইনজুরির চিকিৎসা করানোর জন্য লন্ডনের উপকণ্ঠে সাউদাম্পটনের উদ্দেশ্যে তামিম রওয়ানা হয়েছিলেন ২৭ সেম্পেটম্বর। যাওয়ার আগে জাগো নিউজের কাছে তামিম আশা প্রকাশ করেছিলেন, খুব বেশি সমস্যা না হলে ১ অক্টোবর দেশে ফিরে আসবো। কিন্তু তামিম ফিরলেন ১দিন আগে। অর্থ্যাৎ, আজ বিকেল ৫টায়।

Advertisement

কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে বিকেল ৫টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামেন তামিম। সেখানেই তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে নিজের ইনজুরির সর্বশেষ অবস্থার কথা জানান। তামিম জানান, অন্তত ৭ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে তার পুরোপুরি সুস্থ হতে।

বিমান বন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তামিম বলেন, ‘ডাক্তাররা জানিয়েছে, আপাতত নতুন কোনো চিকিৎসা লাগবে না। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ সপ্তাহ লাগতে পারে। যদিও ডাক্তার জানিয়েছেন, ৫ সপ্তাহ পর তাকে দেখিয়ে আসতে। এরপরই হয়তো তিনি জানিয়ে দিবেন, জানাবে কত সময় লাগবে পুরোপুরি সুস্থ হতে।’

৭ থেকে ৮ সপ্তাহ মানেই হচ্ছে প্রায় দুই মাস। অর্থ্যাৎ, জিম্বাবুয়ে সিরিজ পুরোটাই মিস করতে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল। যদিও জাতীয় দলের নির্বাচকরা আগেই আশা প্রকাশ করেছিলেন, সুস্থ হওয়ার পর হয়তো বা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়া যাবে তামিমকে। কিন্তু, তিনি নিজে যে তথ্য আজ জানালেন, তাতে মনে হচ্ছে, জিম্বাবুয়ে সিরিজের কোনো ম্যাচেই আর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে তার।

Advertisement

জাগো নিউজকে তামিম ইকবাল বলেন, ‌'আশা করতেছি ৭ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবো। তবে ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ পর ডাক্তারকে একবার দেখাতে হবে। এরপর তিনি দেখে বলবেন, কত দিন সময় লাগবে।'

তামিম জানান অস্ত্রোপচার করতে হয়নি। যে স্ক্রেপ ব্যান্ডেজ করা হয়েছে, তাতেই সেরে যাবে আপনাআপনি জোড়া লেগে যাবে। তিনি বলেন, ‌'অস্ত্রোপচার করার কোনো প্রয়োজন হয়নি। স্ক্রেপ ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়েছে শুধু। ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ পর আপনাআপনি জোড়া লেগে যেতে পারে। তবে যদি ভাগ্য খুব বেশি খারাপ হলে এবং চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর আপনাআপনি জোড়া না লাগলে, তখন সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৭ সপ্তাহ ৮ সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে।'

তামিম সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারেন। তিনি বলেন, ‌'আমি সবার কাছে দোয়া প্রার্থী এবং আশা করছি, সিকিৎসকরাও বলেছেন, ৪ থেকে ৫ সপ্তাহের মধ্যে ফ্র্যাকশ্চারটা আপনাআপনি জোড়া লেগে যেতে পারে।'

২১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ। সার্জারি করা না লাগলে উইন্ডিজ সফরের শেষ পার্টটা হয়তো খেলতে পারবেন তামিম।

Advertisement

সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে গিয়ে শুরুতেই সুরঙ্গা লাকমালের বলে বাম হাতের কব্জিতে ব্যাথা পান তামিম ইকবাল। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে হাসপাতালে। তখনই স্ক্যান করে জানা যায়, তামিমের হাতের কব্জিতে চিড় ধরা পড়েছে। তবুও ওই ম্যাচের শেষ দিকে ভাঙা হাত নিয়ে ব্যাট করতে নেমে যান তামিম। যা রীতিমত বিস্ময় এবং এক বিরল উদাহরণ তৈরি করেছে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই ম্যাচের দু’দিন পরই দেশে ফিরে আসেন তামিম। তখনই জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন বিদেশে। শেষ পর্যন্ত লন্ডন গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে আসলেন দেশ সেরা এই ওপেনার।

এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম