বিনোদন

চলচ্চিত্রে আসছে মাশরাফির জীবনী?

কত বিশেষণই তো তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিস্ময় পুরুষ তিনি। যে পায়ে হাঁটা চলাই ঝুঁকির সেই পায়ে তিনি বাংলাদেশকে বহন করে চলেন বীর সেনার মতো। তখনই সমালোচকরাও তাকে প্রশংসায় ভাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের কট্টর সমালোচক পাকিস্তানি রমিজ রাজাও সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপ শেষে উপাধি দিলেন, ‘এশিয়ার অধিনায়ক মাশরাফি!’

Advertisement

না বলেই বা উপায় কী! দলের প্রধান দুই অস্ত্র ছাড়াই অল্প রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ কাঁপানোর মূলমন্ত্র তো মাশরাফিই ছড়িয়েছেন টাইগারদের মধ্যে। তার নেতৃত্ব আশার ফিনিক্স পাখি হয়ে উঠে আসে হতাশার সাগর পাড়ি দিয়ে। তার উদ্যম, তার অনুপ্রেরণা টাইগারদের অপ্রতিরোধ্য করে তুলে। মাশরাফি তাই জাতীয় আইকন, জাতির কাছে সাফল্য ও শক্তির দারুণ উদাহরণ।

সেই মাশরাফির জীবনকে কতটুকু জানি আমরা? তার শৈশব, কৈশোর, শিক্ষা, বন্ধুত্ব, পরিবার, ক্রিকেট, ইনজুরি জয় করে লড়ে যাওয়ার মাশরাফির সবটুকু জানতে আগ্রহী দেশের মানুষ, নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারেরা। কেমন হয় সেই মাশরাফির জীবন চলচ্চিত্রের রুপালি পর্দায় উঠে এলে?

তেমনই চেষ্টা করে যাচ্ছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ। তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বপ্ন দেখছেন মাশরাফির বায়োপিক বানাবেন। সম্প্রতি এক লাইভে বিষয়টি জানান আব্দুল আজিজ। তারপর থেকেই আলোচনায় মাশরাফির বায়োপিক।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে আব্দুল আজিজ আজ রোববার দুপুর ৩টায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার অনেকদিনের ইচ্ছে আমাদের ক্যাপ্টেন মাশরাফির বায়োপিক নির্মাণের। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ দেয়ার জন্যই আমি এটি করতে চাই। আজ আমাদের একজন মাশরাফি আছেন। আমরা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলছি। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমাদের পাঁচজন মাশরাফি থাকবে। আমরা বিশ্ব জয় করবো ক্রিকেটে। সেজন্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে মাশরাফিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেই ইচ্ছে নিয়েই আমি উনার বায়োপিকটি নির্মাণ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক আগে মাশরাফির সঙ্গে এ সংক্রান্ত কথাও বলেছি। আমি তাকে বলেছি, চলচ্চিত্রে তার কাহিনী উঠে আসলে অনেকেই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী হবেন। তার বায়োপিক নির্মিত হলে নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা বাড়বে। মাশরাফি অত্যন্ত বিনয়ী মানুষ। নিজের জীবন চলচ্চিত্রে আসবে শুনতেই লজ্জা পেলেন। অনুমতি দিলেন না। তবে আমি হাল ছাড়িনি। আবারও তার সঙ্গে কথা বলব। তার জীবন, অনুমতিও তাকেই দিতে হবে। তাই মাশরাফির অনুমতির অপেক্ষা করছি আমি। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও কথা বলবো।’

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা তার বায়োপিকের অনুমতি দেবেন। সেই অনুমতি নিয়েই আন্তর্জাতিক মানের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন তিনি। সেখানে দেখা মিলবে দেশ-বিদেশের অনেক তারকাদের।

এলএ/আরআইপি

Advertisement