জাতীয়

‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বলাকা ছাড়ব না’

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে বলাকা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা। রোববার সকাল ৬টা থেকে দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক বলাকা ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছিল।

Advertisement

এ সময় আন্দোলনরত অস্থায়ী শ্রমিকদের নেতা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘আজ আমাদের একটা ফলাফল লাগবেই। অবশ্যই সেটা ইতিবাচক হতে হবে। আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত চাই। এবং সেটির লিখিত দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বলাকা ছাড়ব না।’

তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বলাকা ভবনে অবস্থান নিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা বলাকাতেই অবস্থান করবে।

এদিকে ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লোডিং-আনলোডিংসহ বিভিন্ন গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে বিমানবন্দরের গ্রাহক সেবা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

Advertisement

সূত্র জানায়, সকাল ৬টা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রাহক সেবা এক রকম বন্ধ। সকাল ৯টায় কলকাতা থেকে বিমানের বিজি-০০৯২ ফ্লাইটি বিমানবন্দরে আসে। এ সময় এয়ারক্রাফটের দরজা খুললেও ব্যগেজ নেয়ার ট্রলিভ্যান ছিল না। এমনকি যাত্রীদের নেয়ার জন্য বাস চালানোরও কোনো লোক ছিল না। ফলে ওই ফ্লাইটের ১৫০ জন যাত্রী কোনো সেবা পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইভাবে বিজি-০০৮৮, বিজি- ০৬৯ ফ্লাইটের যাত্রীদেরও সেবা দেয়ার কেউ ছিল। কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর অনেকে ব্যাগেজ ছাড়াই বাড়ি চলে যান।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিমানের ৭০০ ক্যাজুয়াল পে গ্রুপ (৩\১) ও (৩\২) তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের (পে-গ্রুপ ১) ১৮০০ জনের চাকরি স্থায়ী হয়নি।

পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিমান ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা {পে-গ্রুপ (১)} বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎ করেন। সেসময় উভয় মন্ত্রীই তাদের চাকরা স্থায়ী করার আশ্বাস দেন।

আরএম/এমবিআর/এমএস

Advertisement