বিনোদন

ভোটের হিসাবে গরমিলের দাবি চয়নিকা চৌধুরীর

ছোট পর্দার নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত শুক্রবার। এর ফলাফল প্রকাশ হয়েছে শনিবার দুপুরে। সেখানে জানানো হয়, নতুন মেয়াদে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় নাট্য পরিচালক সালাউদ্দিন লাভলু। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী হয়েছেন নির্মাতা এস এ হক অলিক।

Advertisement

তবে গতকাল রাত থেকেই আলোচনায় আসে ভোট গণনায় ভুলের বিষয়টি। অনেক নির্মাতারাই দাবি করছেন, ভোট গণনায় গরমিল রয়েছে। তাদের মতে, নির্বাচনে নানা কাটছাট বাদ দিয়ে শুদ্ধ ভোট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে ৪৫৬টি ভোট। কিন্তু কোনো পদেই প্রাপ্ত যোগফল ৪৫৬ হচ্ছে না। কখনো সেটা ৪৩২ হচ্ছে, কখনো আরও কম বা বেশি।

প্রথমে বিষয়টি কেবল মৌখিক আলোচনা-সমালোচনাতেই ছিলো। এটিকে সবার সামনে নিয়ে আসেন জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তিনি এবারে সহ সভাপতি পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। তিনি আজ রোববার সকালে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘যারা নির্বাচিত হয়েছেন সকল কে অভিনন্দন।খুব খুব সুন্দর সমাবেশে ভোট হয়েছে। কিন্ত আমার একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে প্রশ্ন আছে। অন্য সব পদ বাদই দিলাম। সভাপতি, সেক্রেটারী, প্রচার সম্পাদক এবং অর্থ সম্পাদক এই পদে মাত্র একটি ভোট। তবে তো ভোট সংখ্যা সমান হবার কথা! ৪৩২ সবার টাই হবার কথা। তাইনা? এমন কি যে পদে দুটি আসন সেখানেও যোগ করলে সেইম সংখ্যাই হবার কথা। নাকি ভুল বললাম? কম বেশি তো হবার কথা না। ভোট নষ্ট হলে পুরো পেপার বাতিল হবে। শুধু একজনের না। বাতিল হলে সবার টাই হবে। তাইনা? নিয়ম আমি, আমরা জানি।আমাকে কি একজন সাধারণ নির্মাতা এবং একজন প্রার্থী হিসাবে বলবেন এই সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন কেন?’

তিনি ডিরেক্টরস গিল্ড এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন। এরপর আজ রোববার ১টার দিকে আরেক পোস্টে লেখেন, ‘এইমাত্র নির্বাচন কমিশনের মহসিন স্যারের সাথে কথা হয়েছে। তিনি সব শুনে খুব অবাক হলেন। বললেন রিচেক দিবেন সবার সাথে কথা বলে। কথা হলো ডিরেক্টরস গিল্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট সালাউদ্দিন লাভলু ভাইয়ের সাথেও। তিনি নিজেও অবাক এবং তিনি জানিয়েছেন শপথ নেবার আগেই তিনি রিচেক করবেন। স্যালুট টু ইউ লাভলু ভাই। একজন বিজয়ীর মুখেই এমন কথা শোভা পায়।’

Advertisement

চয়নিকা আরও লেখেন, ‘আমি মনে করি নির্মাতা হিসাবে শপথ নেবার আগেই সবার সামনে আবারো রিচেক করা উচিত এবং এটাই সভাপতি এবং সম্পাদকের সর্বপ্রথম কাজ হবে নির্মাতাদের জন্য। অনেক ধন্যবাদ লাভলু ভাই।’

এদিকে নবনির্বাচিত সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমিও ব্যাপারটি শুনছি আজ সকাল থেকে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে সেটা কষ্টের কারণ হবে। কারো মনে কষ্ট দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না। অনেকেই ভোটের হিসাব আবারও খতিয়ে দেখতে বলছেন। নির্বাচন কমিশনকে আমি অনুরোধ করবো ব্যাপারটি তদন্ত করে যোগ্য ব্যবস্থা নিতে। সত্যি যদি কোনো গড়মিল থাকে তবে ভোট পুনরায় গণনা করাই উচিত। আমার এতে বিন্দুমাত্র আপত্তিও নেই। সংগঠনটা আমাদের। আর আমরা শিল্পের চাষাবাদ করি। এখানে কোনো সমালোচনা থাকবে না।’

শোনা যাচ্ছে, আজ বিকেলের মধ্যে ভোটের গরমিলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবে নির্বাচন কমিশন। আজই ভোটের হিসাব চেক করা হতে পারে।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ ও নির্মাতা কাওসার চৌধুরী। আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। এই কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলেন নাট্যজন আবুল হায়াত ও সাইদুল আনাম টুটুল।

Advertisement

এলএ/এমএস