এশিয়া কাপ মিশন শেষে রাজধানীতে ফিরেছেন শনিবার রাত ১১টার পরে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা ও সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথন শেষে বাড়ি ফিরতে ফিরতে হয়েছে মধ্যরাত। পরিবারের সঙ্গে খানিক সময় কাটিয়ে বিছানায় যেতে গভীর রাত।
Advertisement
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরেই প্রিয় মোটরবাইকে সরাসরি চলে গেলেন রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে। উদ্দেশ্য প্রিয় ছোট ভাই ও দলের চালিকাশক্তি সাকিব আল হাসানকে একনজর দেখা ও তার বর্তমান অবস্থার খোঁজ-খবর নেয়া।
বেলা ১১টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটান প্রিয় ছোট ভাইয়ের সঙ্গে। এ সময় সাকিবের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ বন্ধু খান নয়ন জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন মাশরাফি-সাকিবের কথোপকথনের পুরোটাজুড়েই ছিল এশিয়া কাপ ফাইনাল। দুজনই আফসোস-অনুশোচনায় পুড়েছেন শিরোপা জিততে না পারায়।
দুজনের আলাপে সাকিবের খেলতে না পারার কথা উঠে এসেছে বারবার। সাকিব থাকলে কখন কী করতেন, কোন সময়ে সাকিবের বোলিংটা বেশি দরকার ছিল, অমন উড়ন্ত সূচনার পরে ওয়ানডাউনে সাকিবকে পেলে ইনিংসের চালচিত্র ভিন্ন হতে পারতো- এমন আফসোসমাখা কথাবার্তাই মাশরাফির মুখে ছিল বেশি।
Advertisement
সাকিবের সেই বন্ধু আরও জানিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজও আজ সকালে সাকিবকে দেখতে এসেছিলেন। মজার ঘটনা হলো আগের রাতে প্রথমবারের মতো পিতা হওয়া ডান হাতি পেসার তাসকিন আহমেদ এসেছিলেন নিজের টেনশন দূর করতে, প্রিয় বড় ভাইয়ের সঙ্গে খানিক আড্ডা দিতে।
এদিকে মাশরাফি আসার আগে রোববার সাকিবের খোঁজ-খবর নিতে হাসপাতালে আসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনিও আধ ঘণ্টা কাটান সাকিবের সঙ্গে। সাকিবের বাঁ-হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের সর্বশেষ অবস্থা কি তা নিয়েও কথা বলেন পাপন।
সাকিবের বন্ধু নয়ন জানিয়েছেন, আজ সকালে ডাক্তার যখন রাউন্ডে আসেন তখন সাকিব ঘুমাচ্ছিলেন। তাই দুপুরের পরে আবার ডাক্তার আসবেন, দেখে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত দেবেন। আঙুলে জমে যাওয়া পুঁজ নিষ্কাশনের পর ঘা শুকাতে অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। চিকিৎসকরা মনে করলে আজই সাকিবকে ছুটি দিতে পারেন।
তারপর বাসায় চিকিৎসা চলবে। আঙুলের ইনফেকশন পুরোপুরি না সারা পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য সাকিবের দেশের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার মানে ইনফেকশন মুক্ত হওয়ার অপেক্ষা আগে। তারপর মূল চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়া।
Advertisement
কোথায় হবে সাকিবের আঙুলের উন্নত চিকিৎসা? প্রথমে শোনা যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কথা। তবে এখন অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের কথাও শোনা যাচ্ছে। মাশরাফিসহ বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের হাত ও পায়ের ইনজুরির চিকিৎসা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ইয়াংয়ের কাছে। সাকিবের চিকিৎসাও অস্ট্রেলিয়ায় হতে পারে।
এদিকে নিজের কব্জির চিকিৎসা করাতে ইংল্যান্ড যাওয়া তামিম মুঠোফোনে সাকিবের সাথে কথা বলেছেন। জানা গেছে, তামিম ইংল্যান্ডে চিকিৎসা বিষয়ে সাকিবকে ধারণা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সাকিব নিজেই ঠিক করবেন তার পরবর্তী চিকিৎসা কোথায় হবে। তবে এজন্য কদিন অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে সবাইকে।
এআরবি/এসএএস/এমএস