পরিচালনা পর্ষদ সভায় স্থায়ী হওয়ার নিশ্চয়তা না পাওয়ায় আবারও নিয়মতান্ত্রিক ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা। বিমানবন্দরে কাজে না গিয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক বলাকা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
Advertisement
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১০টায় বলাকা ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকরা সকাল ৬টা থেকেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করে।
এই কর্মসূচির বিষয়ে অস্থায়ী শ্রমিকদের নেতা মোহাম্মদ হানিফ জাগো নিউজকে বলেন, ন্যায্য দাবি আদায়ের কথা বলার অধিকার সবার রয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বলাকা ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এরপরও যৌক্তিক দাবি না মানা হলে সব ক্যাজুয়াল শ্রমিক একযোগে কর্মবিরতিতে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি কোনো ধর্মঘট বা কর্মবিরতি না। আমরা আমাদের জীবন-যৌবন সব দিয়েছি বিমানকে। সেই বিমান ম্যানেজমেন্ট আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। চাকরি শেষে অমানবিকভাবে খালি হাতে বিদায় করছে।’
Advertisement
এদিকে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের এই আন্দোলনে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লোডিং-আনলোডিংসহ বিভিন্ন গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে বিমানবন্দরের গ্রাহক সেবা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিমানের ৭০০ ক্যাজুয়াল পে গ্রুপ (৩\১) ও (৩\২) তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের (পে-গ্রুপ ১) ১৮০০ জনের চাকরি স্থায়ী হয়নি।
পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিমান ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা {পে-গ্রুপ (১)} বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎ করেন। সেসময় উভয় মন্ত্রীই তাদের চাকরা স্থায়ী করার আশ্বাস দেন।
পে-গ্রুপ-১ ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের দিয়ে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনাসহ কার্গো বিমান লোডিং আনলোডিং এবং বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করানো হয়।
Advertisement
আরএম/এমবিআর/এমএস