জনপ্রিয় নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত টেলিভিশন মিডিয়ার মানুষদের কাছের অনেক পছন্দের। অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি। অভিনয় করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসাও কম পাননি। চলচ্চিত্র পরিচালনা করেও সফলতা পেয়েছেন। তার পরিচালিত ‘মৃত্তিকা মায়া’ চলচ্চিত্রটি ১৮টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল।
Advertisement
গত দুই বছর এই প্রিয় মানুষটি ছোট পর্দার নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টর’স গিল্ডের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু ডিরেক্টরস গিল্ডের ২০১৮ এর নির্বাচনে আর সভাপতি পদে নির্বাচন করেননি তিনি। মানুষ যখন ক্ষমতা আগলে বসে থাকার চর্চায় ব্যস্ত সেই সময় সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে দারুণ এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি।
নির্বাচন থেকে সরেও দাঁড়াতে পারতেন! জানা যায়, সংগঠনটিকে অনেক ভালোবাসেন বলেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, এই সংগঠন ছেড়ে যেতে চাননি। আবার নতুনদেরও ক্ষমতায়ন চান। তাই এক মেয়াদ সভাপতি হিসেবে থেকে এবার সদস্য হিসেবে কমিটিতে সংযুক্ত হলেন।
মজার ব্যপার হলো এখনো সব নাট্যনির্মাতাদের কাছে আস্থার নাম, ভালোবাসার নাম গাজী রাকায়েত। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর সেটাই প্রমাণ হলো। এবারে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
Advertisement
সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল মোট ৪৯০ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন মোট ৪৫৫ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১৮ ভোট পেয়েছেন গাজী রাকায়েত।
সভাপতি থেকে সদস্য পদে কেন? একথা আগেই জানিয়ে ছিলেন তিনি। গাজী রাকায়েত বলেছিলেন, ‘১৬/১৭ বছর ধরে এ সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমি চেয়েছি নতুন নেতৃত্ব সামনে আসুক। তবে তাদের তো একটা নির্দেশনা থাকা জরুরি। পথ দেখানো দরকার। এ জন্য সদস্য হিসেবে নির্বাচন করছি। আর আমি তো গতবারই সভাপতি পদে দাঁড়াতে চাইনি! গতবার আমি সালাউদ্দিন লাভলুকে নির্বাচন করতে বলেছিলাম। সে দাঁড়ালে আমি আসতাম না। এবার সে দাঁড়িয়েছে। আমি খুশি হয়েছি। সভাপতিত্ব থেকে সরে গিয়েছি। দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য হলেও কমিটিতে থাকার ইচ্ছে ছিল আমার। সে জন্যই নির্বাচনের সঙ্গে থাকা।’
শনিবার বিকেলে গাজী রাকায়েত জাগো নিউজকে বলেন, ‘১৬ বছর ধরে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে আছি। আমি এই সংগঠনের ফাউন্ডার মেম্বার। আমি চেয়েছি নতুন নেতৃত্ব আসুক। আমি মনে করি পেছনে থেকেও অনেক কাজ করা যায়। সালাউদ্দিন লাভলু একজন প্রফেশনাল নির্মাতা। নিয়মিত কাজ করছে, সেও ভালো বুঝবে নির্মাতাদের দুঃখ কষ্ট। যাই হোট এই প্রিয় সংঠনটির সঙ্গে আছি থাকবো। আমাকে সবাই পছন্দ করেন, ভালো তো লাগেই।’
আর সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে তিনি বললেন, ‘এটা আনন্দের। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের নাকি জনপ্রিয়তা কমে। আমার তো বাড়ছেই। বেশ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। দোয়া করবেন, সততা আর এইসব ভালোবাসা নিয়েই যেন সুখে থাকতে পারি।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, গাজী রাকায়েতের পর নির্মাতাদের কাছে জনপ্রিয়তায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জনপ্রিয় নাট্য ব্যক্তিত্ব ইনামুল হক ও লাকী ইনাম দম্পতির মেয়ে নির্মাতা হৃদি হক। এবার ৩১৩ ভোট পেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন তিনি।
এমএবি/এলএ/জেআইএম