শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬ রান। বোলিং করতে এগিয়ে আসতে দেখা গেলো সৌম্য সরকারকে। হঠাৎ করেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন, সৌম্যের বদলে মাহমুদউল্লাহকে ডেকে নিলেন অধিনায়ক মাশরাফি।
Advertisement
পূর্ব অভিজ্ঞতার বিচারে শেষ ওভার দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের একদম শেষ বলে গিয়ে জয় নিশ্চিত করে ভারত। ম্যাচ শেষে মাশরাফির এ সিদ্ধান্ত ঘিরে হয়েছে নানান আলোচনা, হয়েছে অনেক সমালোচনাও।
শেষ ওভারে সাধারণত স্পিনার দেয়া হয় না, পেসারদের দিকেই বেশি যান অধিনায়কেরা। সেখানে মাশরাফি একজন পেসারের হাত থেকে বল নিয়ে তুলে দিয়েছেন পার্টটাইম স্পিনারের হাতে। কি কারণে এমন সিদ্ধান্ত তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ও কৌতূহল ছিলো অনেক।
সেসব কৌতূহলের জবাব ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেই দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মূলত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ ওভারে বেশ কয়েকবার বোলিং করার অভিজ্ঞতা থাকাতেই সৌম্যের বদলে মাহমুদউল্লাহকে ডেকে নিয়েছিলেন অধিনায়ক।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আমিই বদলেছি সিদ্ধান্ত। কারণ রিয়াদ বিপিএলে শেষ ওভারে বোলিং করেছে, দুইবার শেষ ওভারে দলকে জেতানোর অভিজ্ঞতাও আছে। তখন এটাই আমার মাথায় কাজ করেছে। আমি শুধু ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আত্মবিশ্বাস কতটা আছে। নিজে সাহস দেখানোর পর ওকেই দিয়েছি। তাছাড়া সৌম্যের পেস কাজে লাগিয়ে হয়ত রান হয়ে যেত সহজেই। ভাবনা ছিল মাহমুদউল্লাহকে যদি মারতেও যায়, তবু আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
মাহমুদউল্লাহর হাতে বল দেয়ার সময় তাকে কি বলেছিলেন অধিনায়ক? মাশরাফি উত্তর দেন, ‘রিয়াদকে বলছিলাম, ওরা মারতে যাবে। মারতে গেলে মিস হিট হতে পারে। বিশেষ করে কুলদ্বীপ মারার চেষ্টা করবে। যাদভ যেহেতু ব্যাটসম্যান, ও হয়তো তা করবে না। পঞ্চম বলটাই কিন্তু কুলদীপের ব্যাটে ইনসাইড এজ হয়েছিল। আসলে এ রকম পরিস্থিতিতে একটু ভাগ্যও পাশে থাকতে হয়।’
সাহস নিয়ে শেষ ওভার করতে আসায় মাহমুদউল্লাহকে তার প্রাপ্য কৃতিত্বও বুঝিয়ে দেন মাশরাফি, ‘ফাইনালে সুপার ওভারের নিয়ম ছিল। শেষ বলে ডট বা আউট হলেই হতো। রিয়াদ চেষ্টা করেছে। ইয়র্কারই করেছে। প্যাডে লেগে এক রান হয়ে গেছে। রিয়াদ দারুণ বল করেছে। ওই সময়েও যেভাবে বল করেছে তা অসাধারণ। ৬ রান করতে ওদের ৬ বলই লেগেছে, দারুণ বোলিং বলতেই হবে।’
এসএএস/এমএস
Advertisement