রাজনীতি

রাস্তা দখল করে কাউকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের মরা গাঙে ১০ বছরে ঢেউ আসেনি, এখন এক মাসে সে ঢেউ আর আসবে না। এখন কর্মীদের চাঙা করার জন্য আন্দোলনের নামে চিৎকার চেঁচামেচি করছে বিএনপি।

Advertisement

তিনি বলেন, দেশে অশুভ শক্তির তৎপরতা চলছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

Advertisement

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসভার অনুমতি নিয়ে বিএনপির হইচই করার দরকার নেই। অনুমতি দেয়ার পর তারা বলবে বিএনপির নেতৃত্বে জনগণের চাপের কাছে সরকার নতিস্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি গত ১০ বছরে ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারে নাই। ৫০০ লোকের মিছিল দেখি নাই। তারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে পুলিশের গতিবিধি কড়া না নরম এ খবর নিতে যায়। এরাই হচ্ছে নেতা, এরা আন্দোলন করবে?

কাদের বলেন, রাস্তায় অবরোধ করে কোনো সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে প্রয়োজনে মুক্তমঞ্চ করে দেয়ার কথাও বলেছেন তিনি। ওই মঞ্চে যার যা খুশি বলতে পারবেন। দরকার হলে আমরা মাইকও ফিট করে দেব। কিন্তু রাস্তায় চেঁচামেচি করতে দেব না, আমরাও করবো না। পত্রিকার মালিক-সম্পাদকদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার অনুরোধ যা দেখবেন, যা শুনবেন তাই লিখবেন। গতকাল ১৪ দলের সমন্বয়ক আমাকে বলেছেন তারা কর্মী সমাবেশ করছেন। কিন্তু আপনারা (সাংবাদিক) একে সমাবেশ বলছেন কেন? সমাবেশ বানিয়ে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টিতো আমরা করবো না। পাল্টাপাল্টি করলে কি আমরা নাট্যমঞ্চে করবো? এটা সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে কর্মী সমাবেশ। এসব বিষয়গুলো বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, টক শোর বিষয় হলো সভা সমাবেশের অনুমতি লাগবে কেন? উপস্থাপকও বলছে অনুমতি। কিন্তু এ সাবজেক্টটাই বা কেন? পুলিশের অনুমতি শুধু বিরোধী দল নয়, সরকারি দলকেও নিতে হয়। আমরা ক্ষমতাসীন দলও অনুমতি নেই, এটাই নিয়ম।

Advertisement

আমার এক বন্ধু আগে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। এখন বিএনপির থিঙ্কট্যাংকের সঙ্গে জড়িত । গত পরশুদিন এক টকশোতে তার বক্তব্যে আমি অবাক হয়েছি। তিনি বলেছিলেন ওবায়দুল কাদের সাহেব যে কথা বলেছেন তাতে আমরা ভয় পাচ্ছি, উদ্বিগ্ন । কারণ আমি নাকি বলেছি, দেশে অশনি সংকেত শুনতে পাচ্ছি’। আমি বলেছি দেশে অশুভ শক্তির তৎপরতা চলছে, তিনি কেন অশুভ শক্তির জায়গায় অশনি সঙ্কেত ব্যবহার করে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তি করেছেন। এটাই যদি বিএনপির রাজনীতি হয়, আমার কিছু বলার নাই। এটা মিথ্যাচার, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আমার ভিডিও আছে। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে টেলিভিশনের নিউজ এডিটরকে আমার জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে মেসেজটি দিয়েছি। এসব কিন্তু চলছে, প্রাসঙ্গিক বিষয়কে বাদ দিয়ে এ ধরণের আলোচনা চলছে।

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা জাতিসংঘের নিচের সারির কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে এসে বলেছিলেন জাতিসংঘ নাকি তাদের পক্ষে দাঁড়াবে। গতকাল শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে আজ যে পরিস্থিতি বিরাজমান এ জন্য শেখ হাসিনার সরকার ও জনগণের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সহযোগিতা করবেন। আমরা বিএনপির মতো বানিয়ে বলছি না, দেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সবার মন খারাপ কারণ বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আমরা ক্রিকেটে হেরে গেলাম। কিন্তু আমরা হারিনি, আমরা হারবো না। বাংলাদেশের টাইগাররা চোট খেয়েছে কিন্তু এশিয়া কাপের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কয়েকবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে লড়াই করেছে। শেষ বল পর্যন্ত ঘাম

এফএইচএস/এমএমজেড/এমএস