আকাশপথের নিরাপত্তা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোর মধ্য বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। বিশ্বের এভিয়েশন অভিভাবক হিসেবে পরিচিত আইকাও সেফটি স্ট্যান্ডার্ড কমপ্লায়েন্সের (ইফেকটিভ ইমপ্লিমেন্টেশন) সম্প্রতি প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৭৬। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতের স্কোর ৬৫ দশমিক ৮২।
Advertisement
আটটি প্যারামিটারের মধ্যে সাতটিতেই ভারতের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া সবগুলো ক্ষেত্রেই ভারতের চেয়ে ভালো অবস্থান অর্জন করেছে। অন্যদিকে পাঁচটি প্যারামিটারে ভারতকে পেছনে ফেলেছে মালয়েশিয়া।
আইকাওয়ের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড কমপ্লায়েন্সে কাতারের স্কোর ৬৩ দশমিক ৮১, থাইল্যান্ডের ৩৪ দশমিক ২, মালয়েশিয়ার ৭৪ দশমিক ৭৪, ইন্দোনেশিয়ার ৫১ দশমিক ৬১, মালদ্বীপের ৬৫ দশমিক ৮২, ভারতের ৬৫ দশমিক ৮২ ও ভুটানের ৩৮ দশমিক ৯৫।
সর্বশেষ ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত আইসিভিএমের মাধ্যমে বাংলাদেশ আইকাওয়ের কালো তালিকা থেকে মুক্ত হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫০ দশমিক ৮। ইউনিভার্সাল ওভারসাইট সেফটি অডিট প্রোগ্রাম ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
Advertisement
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস) উইং কমান্ডার চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বলেন, প্রতিবেশী ভারত থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। আমরা সেফটিকে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দেই বলেই এমন সূচক অর্জিত হয়েছে।
আটটি বিষয় নিরীক্ষার মাধ্যমে আকাশপথের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আইকাও। এগুলো হলো— সংশ্লিষ্ট দেশের বেসামরিক বিমান চলাচলের প্রাইমারি এভিয়েশন লেজিসলেশন, অর্গানাইজেশন, পার্সোনেল লাইসেন্সিং, অপারেশনস, এয়ারওয়ার্দিনেস, এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন, এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসেস, অ্যারোড্রোমস অ্যান্ড গ্রাউন্ড এইডস।
এর মধ্যে প্রাইমারি এভিয়েশন লেজিসলেশনে বাংলাদেশের স্কোর ৭০, অর্গানাইজেশনে ৮০, পার্সোনেল লাইসেন্সিংয়ে ৭৮, অপারেশনসে ৮৫, এয়ারওয়ার্দিনেসে ৮৫, এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশনে ৬৭, এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসেসে ৭২ ও অ্যারোড্রোমস অ্যান্ড গ্রাউন্ড এইডসে ৬৭।
আরএম/এনডিএস/এমএস
Advertisement