ফিচার

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মতোই ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কথা সবারই জানা আছে। জাহাজ বা বিমান- ওই অঞ্চলে ঢুকে পড়লেই অদৃশ্য হয়ে যায়! তবে এবার বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মতোই আরেকটি বিস্ময়কর স্থানের সন্ধান পাওয়া গেছে। সে অঞ্চলটি জাপানে। অঞ্চলটি সবাই চেনে ‘ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল’ নামে।

Advertisement

চীনের বিশ্বাস অনুযায়ী, পাতালে ড্রাগন বাস করে। সেই মিথ থেকেই এই রহস্যময় অঞ্চলের এমন নামকরণ করা হয়েছে। এখানকার সমুদ্র অশুভ শক্তির আস্তানা, এমন মিথই গড়ে উঠেছে। তাই একে ‘ডেভিল’স সি’-ও বলা হয়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের দক্ষিণে টোকিও থেকে ১০০ কি.মি দূরে এই রহস্যময় স্থান অবস্থিত। ডেভিল’স সি-কে কেন্দ্র করে দশকের পর দশক ধরে তৈরি হয়েছে ভয়ানক সব মিথ।

> আরও পড়ুন- ১৮ বছর ধরে নির্জন দ্বীপে এক নারী

Advertisement

মূলত গত শতাব্দীর পাঁচের দশক থেকে সেই মিথ জোরালো হয়ে উঠেছে। সে সময়ে বেশকিছু বড় বড় জাহাজ এ অঞ্চলের কাছে আসতেই অদৃশ্য হয়ে যায়। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরে সব মিলিয়ে ৯টি জাহাজ হারিয়ে যায়। অথচ সব ক’টি জাহাজেই রেডিও ট্রান্সমিটার ছিল। কিন্তু কোনোটা থেকেই কোনো রকম বার্তা আসেনি।

জাপান সরকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ‘কাইয়ো মারু’ নামের একটি জাহাজ পাঠায় ওই অঞ্চলে। কিন্তু সেটিও আর ফিরে আসেনি। অনেক পরে সেই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু জাহাজে থাকা ৩১ জন নাবিকের কোনো সন্ধান মেলেনি।

স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাগুলোর পর থেকে জায়গাটি ঘিরে আতঙ্কের রেশ ক্রমে বাড়তে থাকে। পাশাপাশি শুরু হয় ‘ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল’র ‘ভুতুড়ে’ কাণ্ডের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা। কেউ বলেছেন, তড়িচ্চৌম্বকীয় তরঙ্গের কথা। কেউ কেউ আবার সময় ভ্রমণের তত্ত্ব হাজির করে ওই অঞ্চলে ‘টাইম লুপ’ খুঁজে পেয়েছেন।

> আরও পড়ুন- রহস্যময় সোনার ভান্ডার!

Advertisement

কী কারণে ওই অঞ্চলে জাহাজ বা বিমান অদৃশ্য হয়, তা অবশ্য সঠিকভাবে জানা যায়নি আজও। তবে তড়িচ্চৌম্বকীয় তরঙ্গের তত্ত্বই এখনো পর্যন্ত জোরালো। যা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ক্ষেত্রেও বলা হয়ে থাকে। পাশাপাশি নানা মিথ তৈরির পেছনে আসল ঘটনা ঢাকা পড়ে যায়।

মূলত সারা বিশ্বের রহস্যময় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে আছে এই ‘ডেভিল’স সি’। যাকে ঘিরে নতুন রহস্য ঘণীভূত হতেই থাকে।

এসইউ/এমএস