খেলাধুলা

ফাইনালে ভারতকে ২২৩ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

বিনা উইকেটেই ১২০ রান। সেখান থেকে হঠাৎ বিপর্যয়। মিডল অর্ডারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ভালো শুরুটা জলাঞ্জলি দিয়েছে বাংলাদেশ। ১৫১ রানেই ৫ উইকেট হারানো দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করেন সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস। তার সে চেষ্টা বৃথা গেল বিতর্কিত এক আউটে। শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতেই ২২২ রানে অলআউট মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ১১৭ বলে ১২ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১২১ রান করা লিটন যখন হাত খুলে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। ফাঁদে পড়েন বললে অবশ্য ঠিক হবে না, তাকে ফাঁদে ফেলা হয়। কুলদ্বীপ যাদবের বলটি মিস করলেও পা দাগের মধ্যে নিয়ে নিয়েছিলেন লিটন। কয়েকবার জুম করে দেখার পর তাকে আউট দিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ার রড টাকার।

Advertisement

ওই আউটের পরই বলতে গেলে বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন ভেঙে গেছে বাংলাদেশের। মাশরাফি বিন মর্তুজা ১ ছক্কায় ৭ রান করে আরেকটি স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন। শেষদিকে সৌম্য লড়াই চালানোর চেষ্টা করলেও লক্ষ্যটা খুব বড় করতে পারেনি টাইগাররা। ৪৫ বলে ৩৩ করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।

এর আগে মেকশিপ্ট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর লিটন দাসের ব্যাটে রীতিমত উড়ন্ত সূচনা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেন ১২০ রান।

মিরাজ শুধু সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলেন। লিটন খেলেছেন ঝড়ো গতিতে। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙেন কেদর যাদব। তাকে তুলে মারতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন মিরাজ। ৫৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৩২ রান।

Advertisement

এর পরপরই আরও একটি উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলটি ইমরুল কায়েসের প্যাডে লাগলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ইমরুল রিভিউ নিয়েছিলেন, বলও দেখা যায় বাইরে পিচ করে স্ট্যাম্পে আঘাত হেনেছে। কিন্তু আম্পায়ারের কল হওয়ায় ২ রান নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় ইমরুলকে।

দলের ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীমও বেশিদূর এগুতে পারেননি। ৫ রান করে তিনি উঠিয়ে মারতে গিয়েছিলেন যাদবকে। ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন বুমরাহর হাতে। এরপর দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার মোহাম্মদ মিঠুন (২)। ৪ রান করে বোকার মতো বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন মাহমুদউল্লাহও।

সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মাঝে একটা প্রান্ত আগলে ছিলেন লিটন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা তিনি তুলে নেন ৮৭ বলে। লড়ে যাচ্ছিলেন, বিতর্কিত আউটে থেমেছে তার লড়াই।

ভারতের পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন কুলদ্বীপ যাদব। ৪৫ রানে ৩টি উইকেট নেন তিনি। ২টি উইকেট নেন কেদর যাদব।

Advertisement

এমএমআর/পিআর