বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন হচ্ছে। ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জলাতঙ্ক অপরকে জানান, জীবন বাঁচান’।
Advertisement
জলাতঙ্ক একটি ভয়ঙ্কর মরণব্যাধি। জলাতঙ্কের কারণে পৃথিবীতে প্রতি ১০ মিনিটে একজন মানুষের মৃত্যু ঘটে। সে হিসেবে বছরে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় দুই থেকে তিন লাখ মানুষ কুকুর ও অন্যান্য প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয়ে থাকেন। এতে বছরে সহস্রাধিক মানুষ জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এবং এর পাশাপাশি অনেক গবাদিপশুও এ রোগে মারা যায়। যার অর্থনৈতিক মূল্য অপরিসীম।
সারা বিশ্বে প্রতিবছর ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। আর বাংলাদেশে প্রতিবছর মারা যায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। সরকারি তথ্য মতে, প্রতি বছর দেশে তিন থেকে চার লাখ মানুষ কুকুরের কামড়ের শিকার হন।
Advertisement
জানা গেছে, ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করতে ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক ব্যাধি শাখার (সিডিসি) উদ্যোগে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যা ২০১৭ সালে জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচিতে উন্নীত করা হয়।
জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে একটি এবং প্রতিটি জেলা পর্যায়ে একটিসহ ৬৭টি জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র চালু করা হয়। এসব কেন্দ্র থেকে কুকুরের কামড়ের আধুনিক ব্যবস্থাপনা এবং টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য জনবলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলছে।
আরএস/এমএস
Advertisement