পটুয়াখালীতে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমার অনুমোদন বাতিল করায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে তারা দোয়া-মোনাজাতও করেন। এ সময় তাদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। পরে জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
Advertisement
পটুয়াখালী তাবলিগের আহলে শূরার সদস্য সৈয়দ রাসেদুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালীর পরিত্যক্ত বিমানবন্দরে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা আয়োজন করার লক্ষ্যে তাবলিগ আহলে শূরার পক্ষে হাজি মো. মোশারফ হোসেন গত ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। একই আবেদন এবং এর অনুলিপি সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দফতরে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইজতেমার জন্য অনুমতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ সেপ্টেম্বর ১১ শর্ত দিয়ে পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ইজতেমার অনুমোদন দেন। ফলে আবেদনকারী ও পটুয়াখালী তাবলিগের আহলে শূরার সদস্যরা ইজতেমার জন্য তিন দিনব্যাপী সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে ইজতেমার অনুমোদন মৌখিকভাবে বাতিল করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হেমায়েত উদ্দিন তাদের শান্ত করে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে নিয়ে যান।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হেমায়েত উদ্দিন জানান, তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের আলাপ হয়েছে।
Advertisement
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান জানান, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে।
এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশের মতামত প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু অনুমোদন তো দেবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। তারা কী করেছেন তা আমরা জানি না।
আরএআর/পিআর
Advertisement