জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক তহবিলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে উদ্যোগ নিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এ জন্য নতুন করে ন্যাশনাল ডেজিগনেটেড অথরিটির (এনডিএ) জন্য ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। এর মধ্যমে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থায়ন পেতে হলে বাংলাদেশের জন্য স্বচ্ছ ও ব্যাপক অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া সহজ হবে।
Advertisement
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ঢাকায় শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন। এনডিএ ওয়েবসাইট উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ইআরডির সচিব আছিয়া খাতুন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির ডেপুটি হেড অব ডেভেলপমেন্টের কো-অপারেশন কারেন ব্লুম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সবুজ জলবায়ু তহবিলের ওপর বিশ্বব্যাংকের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং এটা হলে জলবায়ু-তাড়িত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থ ব্যাহত হতে পারে। বৈশ্বিক সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ) থেকে অর্থায়ন পাওয়ার জন্য জাতীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থা (এনডিএ) নির্বাচিতকরণ কোনো আমলাতান্ত্রিক বিষয় নয়। এ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জলবায়ু-তাড়িত জনগোষ্ঠী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ সব স্তরের প্রতিনিধিদের যুক্তকরণ এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত, যাতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় একটি কার্যকর জাতীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থা নির্বাচিত হয়।
কাজী শফিকুল আযম বলেন, আজকে ভালো দিন, এনডিএ উদ্বোধন করলাম। আমরা জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের শিকার। আমাদের যে পরিমাণে ক্ষতি হচ্ছে, তা পাচ্ছি না। আমরা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য। আমাদের পাওয়ার অধিকার আছে। এনডিএ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবকিছু আপডেট থাকবে। আমাদের কী প্রকল্প দরকার, চাহিদা কতো, সব তথ্য ওয়েবসাইটে থাকবে। এর মাধ্যমে ক্লাইমেট চেঞ্জের সঠিক প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ আমরা পাবো বলে আশা করছি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু তহবিলের অনেক প্রকল্প চলমান। এসব প্রকল্পের আপডেট তথ্য থাকবে ওয়েবসাইটে। এ ছাড়া আরও কী ধরনের প্রকল্প দরকার তা পেতে এ ওয়েবপেজের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের প্রাপ্য হিস্যা পাবো। কয়েক দিন আগে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনগত কারণে জিডিপির ৬ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে। ১৩ কোটি মানুষ জলবায়ু প্রভাবের শিকার। নদী ভাঙনে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু কোনো বৈশ্বিক সহযোগিতা পায় না। তিনি বলেন, জাতীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থাকে হতে হবে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত, যাতে করে এ সংস্থা সব আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর সমন্বয়সাধন করার ক্ষমতা রাখতে পারে।
এমএ/জেডএ/পিআর