বিনোদন

আটকে আছে ১০০ কোটি টাকা, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান প্রযোজকরা

দেশের বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের কাছে বিভিন্ন প্রযোজকদের ১০০ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া জমেছে বলে দাবি করেছে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বকেয়া আদায়ের দাবিতে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রযোজকদের সংগঠন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)। এখানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক ইরশ যাকেরসহ পাওনাদার প্রযোজকরা। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই চ্যানেলগুলোকে প্রযোকদের বকেয়া পরিশোধ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এই সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশীদ বলেন, ‘সম্মানিত সাংবাদিকগণ, আপনারা আমাদের সহকর্মী। সবই দেখেন, শুনেন ও জানেন আপনারা। এর আগেও চ্যানেলের কাছে বহু টাকা আটকা পড়েছিল। আমরা সেই টাকা অনেক কষ্ট করে আদায় করেছিলাম। এবারও প্রযোজকদের অনেক টাকা আটকে আছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো আটকে আছে। অনেক চেষ্টা করেও সেই টাকা যখন আমরা উদ্ধার করতে পারছিলাম না, তখন বিষয়গুলো জানাতে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।’

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা চেয়ে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা চাইছি। তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। তিনি যেনো বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন। তাহলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রযোজকদের লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পাওয়া যেতে পারে। অনেক প্রযোজক বেঁচে যাবেন। শোবিজেও কাজের গতিশীলতা ফিরবে।’

Advertisement

চ্যানেলগুলোতে গেল কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ও খণ্ড নাটক এবং টেলিফিল্ম প্রচার হয়েছে। অনেকে নানা রকম অনুষ্ঠানও আয়োজনও করে চালিয়েছেন নানা চ্যানেলে। কিন্তু সেইসবের জন্য অনেক টাকা ফেরত পাননি সংশ্লিষ্ট প্রযোজকরা। অনেক নির্মাতা ও প্রযোজকদের সঙ্গে নানারকম তিক্ত ঘটনারও জন্ম দিয়েছে বেশ কিছু টিভি চ্যানেল। দফায় দফায় চিঠি চালাচালি ও মিটিং করেও কোনো সুরাহা পাননি অনেক প্রযোজক। অনেকেই বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক ধারাবাহিক নাটক ও অনুষ্ঠানের প্রচার। আবার কিছু কিছু ধারাবাহিকের পুনঃপ্রচারও চলছে। অথচ সেই নাটকে লগ্নিকৃত টাকাই পরিশোধ করেনি টিভি চ্যানেল।

টাকা বকেয়া আছে এমন কয়েকজন প্রযোজক মুখ খুলেছেন এই সংবাদ সম্মেলনে। তাদের মধ্যে প্রযোজক জামাল উদ্দিন বললেন, ‘একুশে টেলিভিনের কাছে ৮৫ লক্ষ টাকা পাওনা আমার। সেই টাকাটা আমি আদায় করতে পারছি না কিছুতেই।’

টেলিপ্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইরেশ যাকের এই প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চ্যানেলগুলোতে জানাতে চেয়েছি। আমরা সিরিয়াস। আশা করি তারা আমাদের সঙ্গে বসার আগ্রহ দেখাবে। তারা যদি আমাদের কথা আমলে না নেন তাহলে নতুন কর্মসূচী দেওয়া হবে। আপনারা জানেন মালিক পক্ষের কাছে এই টাকাটা কিছুই না। তারা ইচ্ছে করলেই এই টাকাটা পরিশোধ করে দিতে পারেন।’

এমএবি/এলএ/জেআইএম

Advertisement