মাত্র একটি রানের জন্য হলো না সেঞ্চুরিটা। এ কষ্ট কি চাইলেই এত সহজে ভোলা যায়? মুশফিকুর রহীমও নিশ্চয়ই আক্ষেপে পুড়ছেন ভীষণ। তবে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অপয়া '৯৯'-এর রেকর্ড গড়া মুশফিক জানালেন, ওই কষ্টটা আর নেই তার। কেন? দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটা যে জিতেছে বাংলাদেশ! পাকিস্তানকে হারিয়ে উঠে গেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে।
Advertisement
আরও একবার দলের মহাবিপদ, ত্রাতার ভূমিকায় সেই মুশফিক। ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন রীতিমত ধুঁকছে দল, তখনই মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গী করে লড়াই উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ১৪৪ রানের বিশাল জুটি। যে জুটিতে ভর করেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ, পেয়ে যায় লড়াকু সংগ্রহ।
পরের গল্পটা তো সবারই জানা। বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্য আর ফিল্ডারদের চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিংয়ে ৩৭ রানের জয় বাংলাদেশের। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ এশিয়ার আরেক পরাশক্তি ভারত।
মাত্র এক রানের জন্য নিজে সেঞ্চুরি মিস করলেও দলের জয়ে সব দুঃখ ভুলে গেছেন মুশফিক। আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সেঞ্চুরি মিসের হতাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সত্যি করে বলতে, জয়ের পর আমার আর খারাপ লাগছে না। আমি জানি না আপনারা জানেন কি না, আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি দল সবার আগে। যদি আমি সেঞ্চুরি করতাম, আমরা ২৬০ করতাম, কিন্তু ম্যাচটা হেরে যেতাম! আমার কিন্তু তখন ভালো লাগতো না। এটা শুধু মুখে বলছি না, মন থেকেই বলছি।’
Advertisement
মুশফিক যতই বলুন, কষ্ট লাগছে না। ইনিংসের ৪২তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির ইনসুইঙ্গারে ৯৯ রানে আউট হওয়ার পর তার চোখেমুখে দেখা যায় রাজ্যের হতাশা। শুধু কাঁদতেই যেন বাকি রেখেছিলেন।
এমন হতাশ হওয়ার কারণটাও জানালেন মুশফিক। বললেন, ‘আমার হতাশাটা খুব বেশি ছিল। আমি ড্রেসিংরুমে গিয়েও বলছিলাম, সেট ব্যাটসম্যান হিসেবে আমার কমপক্ষে ৪৮ ওভার পর্যন্ত খেলা দরকার ছিল। ডেথে তাদের যে বোলিং কোয়ালিটি, নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য রান করা কঠিন। আমরা কোনোমতে শেষ ২০ ওভারে ১০০ করেছি। সম্ভবত ১১০-এর মতো করি। তাই এটা আমার জন্য ভীষণ হতাশাজনক ছিল। তবে আমি মনে করি, দলের জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এমএমআর/আরআইপি
Advertisement