১৮ রানেই তিন উইকেট নেই। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন শোয়েব মালিক এবং ইমাম-উল হক। এই জুটি ভাঙতে নিরন্তর চেষ্টা বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। কোনোভাবেই পারছিলেন না। একটার পর একটা বোলার পরিবর্তন করেও না। এরই মধ্যে ৬৭ রানের জুটি গড়ে ফেলেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।
Advertisement
২১তম ওভারে রুবেলের হাতেই বল তুলে দিলেন মাশরাফি। ওভারের প্রথম বলেই মিডল স্ট্যাম্পের ওপর রাখেন রুবেল। ফুল লেন্থের। শোয়েব মালিক চেষ্টা করেন মিডউইকেটের ওপর দিয়ে বলটা তুলে দিতে। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন মাশরাফি। মাথার ওপর দিয়ে বলটা চলে যাচ্ছিল। খানিটা পেছন দিকে লাফ দিয়ে মাথার পেছনে হাত বাড়িয়ে দুরুহ কোণ থেকে ক্যাচটা তালুবন্দী করলেন তিনি।
দুর্দান্ত এক ক্যাচ। তার এই ক্যাচেই ৩০ রানে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা শোয়েব মালিককে ফিরলেন সাজঘরে। ৫১ বলে ৩০ রান করেন শোয়েব মালিক। তবে আঙুলে ব্যাথা পেয়ে এ সময় মাঠ ছেড়ে যান মাশরাফি। মাশরাফির আগে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেছিলেন মুশফিক। তার ক্যাচে ফিরেছিলেন সরফরাজ আহমেদ।
এ রিপোর্ট লেখার সময় পাকিস্তানের রান ২৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৪। ৪৪ রান নিয়ে ইমাম-উল হক এবং ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন শাদাব খান।
Advertisement
২৪০ রানের লক্ষ্য। খুব বেশি বড়ও না, আবার ছোটও না। আবুধাবির এই উইকেটে ২৪০ রানও যেকোনো দলের জন্য বড়। যদি বোলাররা ভালো বোলিং করে তাহলে তো কথাই নেই। বাংলাদেশের বোলাররা শুরু থেকেই দুর্দান্ত। সেখানে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহীম যে অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরলেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। মোস্তাফিজের বলে তার ঝাঁপিয়ে পড়া ধরা ক্যাচেই ফিরে গেলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। মাত্র ১৮ রানেই পড়লো পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেট।
চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলটি অফ কাটার দেন মোস্তাফিজ। ভেতরের দিকে পড়ে বেরিয়ে যেতেই শট খেলতে যান সরফরাজ। কিন্তু বল ব্যাটে হালকা চুমু দিয়ে সোজা প্রথম স্লিপ দিয়ে বেরিয়ে যেতে লাগছিল। কিন্তু ডান পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই বলটি তালুবন্দী করে নিলেন মুশফিক। ৭ বলে ১০ রান করে ফিরে গেলেন সরফরাজ। সতীর্থরা এসে মুশফিককে শোয়া থেকে তুলে জড়িয়ে ধরলেন। কোমরে ব্যাথা নিয়েও যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তিনি, সেটাই অবিশ্বাস্য।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রত্যাশামাফিক সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে জমা করতে না পারলেও, বোলিংয়ে যেমন শুরুর প্রয়োজন ছিল ঠিক তেমনটাই এনে দিলেন ডানহাতি অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের প্রথম এবং দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে।
বাংলাদেশের করা ২৩৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলেই মেহেদি হাসান মিরাজের বোলিংয়ে মিড অনে দাঁড়ানো রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফাখর জামান। ৪ বল খেলে মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন তিনি।
Advertisement
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে সাজঘরের ঠিকানা দেখান মোস্তাফিজ। বাঁহাতি কাটার মাস্টারের মিডল স্টাম্পে পিচ করা ডেলিভারিতে লিগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন বাবর। আউট হওয়ার আগে ৩ বল খেলে ১ রান করতে পেরেছেন বাবর।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৩৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৯ রান করেছেন মুশফিক। মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছে ৬০ রানের ইনিংস।
আইএইচএস/বিএ