জাতীয়

মন্ত্রী-এমপি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ ১৯ জনকে হত্যার হুমকি

বর্তমান সরকারের দুই মন্ত্রী সিলেটের কৃতিসন্তান নুরুল ইসলাম নাহিদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী, সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ও ব্লগারসহ ১৯ জনকে হত্যার হুমকি দিয়ে ‘ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন নামের কথিত সংগঠনের নামে সংবাদপত্র কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।বুধবার সিলেটের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে যাওয়া ওই চিঠিতে সংগঠনটির কোনো পরিচয় বা ঠিকানা দেয়া হয়নি। তবে খামের ওপর সিলেট পোস্ট অফিসের সিল ও অাগস্টের ১০ তারিখ উল্লেখ করা আছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম কার্যালয়ে আসা ওই চিঠি বা খামে সংগঠনটির কোনো পরিচয় বা ঠিকানা দেয়া হয়নি।২০ জনের নামের তালিকার প্রথমেই থাকা নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নামটি লাল কালি দিয়ে কাটা। এরপর ধারাবাহিকভাবে ব্লগার আরিফ জেবতিক, সুশান্ত দাশ গুপ্ত, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবাল, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, আব্দুর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর মকবুল  হোসেন ও সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নাম দেয়া হয়েছে।তালিকায় এরপর রয়েছে ব্লগার আরিফুর রহমান, অমি রহমান পিয়াল, হুমায়ুন আজাদের ছেলে অনন্য আজাদ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক মাহমুদুল হক মুন্সি, মারুফ রসুল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আরাফাত রহমান, ব্লগার নির্ঝর মজুমদার, ড. আতিক, আশফাক আনুপ ও নূরনবী দুলালের নাম।এরপর লেখা হয়েছে, মরণ একদিন হবেই বন্ধু, আজ নয়তো কাল/ খোদার লাগি খোদার দুশমনের লইবো তাহার প্রাণ.../নবীর অপমানে কাদে না তোমার মন!/ কি তোমার পেহচান? মরন একদিন হবেই বন্ধু.../লও জালিমের জান...যাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে, চিঠির শুরুতে তাদের আখ্যায়িত করা হয়েছে ইসলাম ও মাদ্রাসা শিক্ষার দুশমন, নাস্তিক, সিলেটবিদ্বেষী, সিলেটের কলঙ্ক, স্যাটানিক ব্লগার হিন্দুস্তানি দালাল ও মুসলিম নাম সর্বস্ব মুনাফিক’ হিসেবে।উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ঢাকার গোড়ানে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়ের বাসায় ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চারজন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট একই কায়দায় খুন হলেন, যারা সবাই ধর্মীয় গোড়ামির বিরুদ্ধে লেখালেখিতে যুক্ত ছিলেন, যুক্ত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চে।নিলয় হত্যার পর আনসার আল ইসলাম নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কার্যালয়ে ই-মেইল পাঠিয়ে দায় স্বীকার করা হয়েছিল। সেখানে আনসার আল ইসলামকে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখা বলা হয়েছিল।এরপর সোমবার রাতে বরিশাল গণজাগরণ মঞ্চের ছয় কর্মীর ছবি দিয়ে আনসার বিডি নামের একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন-এর নামে নতুন যে তালিকা পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে অনেকেই এর আগেও বিভিন্ন সময়ে হুমকি পেয়েছেন।ছামির মাহমুদ/বিএ

Advertisement