ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মাত্র ১২ রানের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশ ইনিংসের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। প্রায় ত্রিশ ওভারের ম্যারাথন জুটিতে ১৪৪ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেছেন মিঠুন।
Advertisement
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৩ রান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করে ৬০ রানে আউট হয়েছেন মিঠুন। ইমরুল কায়েসকে সাথে নিয়ে নতুন জুটি গড়ার চেষ্টায় রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি অপরাজিত ৭৯ রানে।
এশিয়া কাপ স্কোয়াডে মিঠুনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বেশ, সংশয় ছিলো একাদশে তার জায়গা পাওয়া নিয়েও। সেই মোহাম্মদ মিঠুনই গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ম্যাচে হাঁকালেন ক্যারিয়ারের প্রথম দুইটি ফিফটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ৬৩ রানের ইনিংস।
আর এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে করলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পঞ্চাশ। মাত্র ১২ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতনে উইকেটে আসেন মিঠুন। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সাথে সামাল দেন প্রাথমিক ধাক্কা। গড়েন শতরানের জুটি।
Advertisement
শুরু থেকেই সাবধানী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন মিঠুন। অপর প্রান্তে থাকা মুশফিককে দেন নির্ভরতার অভয়। ৬৬ বল খেলে মাত্র ৩ চারের মারে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। ইনিংসের ৩৪তম ওভারের চতুর্থ বলে পুল শট খেলতে গিয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ দিয়ে বসেন মিঠুন। থেমে যায় তার ৬০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই দারুণ ফ্লিক শটে দুই রান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু সেটি আর ধরে রাখতে পারেননি সৌম্য। শাহীন শাহ আফ্রিদির করা দ্বিতীয় ওভারে কোনো রান নিতে পারেননি লিটন, মেইডেন পান শাহীন।
জুনায়েদ খানের করা তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে বড় শট খেলতে যান সৌম্য। কিন্তু গড়বড় করেন টাইমিংয়ে, বল উঠে যায় আকাশে। স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে লোপ্পা ক্যাচ নেন ফাখর জামান। প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসেন মুমিনুল হক।
পরের ওভারের চতুর্থ বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে দুর্দান্ত এক ফ্লিক শটে ডিপ মিড উইকেট ও মিড অনের মাঝ দিয়ে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান মুমিনুল। কিন্তু পরের বলেই ঘুরে দাঁড়ান শাহীন। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড করেন মুমিনুলকে। ৪ বলে ৫ রান করে ফিরে যান তিনি।
Advertisement
পরের ওভারে সৌম্য-মুমিনুলের পথ অনুসরণ করেন লিটনও। জুনায়েদ খানের মিড স্টাম্পে পিচ করা বল নিখুঁত আউটসুইংয়ে ভেঙে দেয় লিটন দাসের অফস্টাম্প। ১৬ বল খেলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন।
এসএএস/জেআইএম