চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা ইউএস-বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটের ২৬ যাত্রীকে বাসে করে কক্সবাজার পাঠিয়েছে উড়োজাহাজ কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলার যাত্রীদের নগরের দামপাড়া স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। পরে সাড়ে ৪টার দিকে রিলেক্স পরিবহনের একটি বাস কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘বিমান যাত্রীদের প্রায় সবাই অসম্ভব ভয় পেয়েছেন। তারা বর্তমানে ট্রমায় ভুগছেন। উচ্চরক্তচাপ জনিত কারণে আলেয়া বেগম (৪৫) নামে এক যাত্রীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় হাত পায়ে ব্যথা পাওয়ায় অনন্ত ১০ জনকে ড্রেসিং করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ৪০ জন। বিমানবন্দরেই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-১৪১ ছেড়ে যায়। এটি কক্সবাজারে নামার কথা ছিল দুপুর সাড়ে ১২টায়। কিন্তু নোজ হুইল আটকে যাওয়ায় পাইলট কক্সবাজারের আকাশে কয়েকবার চক্কর দিয়ে সেখানে না নামার সিদ্ধান্ত নেন। পরে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসে এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরি অবতরণের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়। দুপুর ১টা ২০মিনিটে উড়োজাহাজটি শাহ আমানতের রানওয়েতে সামনের চাকা ছাড়াই জরুরি অবতরণ করে।
Advertisement
পাঁচ ঘণ্টা পর শাহ আমানতে বিমান চলাচল স্বাভাবিক
দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-১৪১ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। বিকেল সাড়ে ৫টার পর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার সারোয়ার ই জাহান।
তিনি বলেন, ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-১৪১ উড়োজাহাজটির জরুরি অবতরণের কারণে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিমান উঠানামা বন্ধ ছিল। তবে সন্ধ্যা ছয়টার পর বিমান উঠানামা স্বাভাবিক হয়েছে। উড়োজাহাজটির জরুরি অবতরণে রানওয়ের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।’
Advertisement
আবু আজাদ/জেএইচ/জেআইএম