খেলাধুলা

৮৭ বলে প্রথম পঞ্চাশ, ৫৮ বলে পরেরটা

টপঅর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় মাত্র পাঁচ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে দলীয় পঞ্চাশ করতে তাই লেগে যায় ৮৭টি বল। তবে ক্রমেই উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় পঞ্চাশ অর্থাৎ দলীয় পঞ্চাশ থেকে দলীয় শতকে যেতে প্রয়োজন পড়েছে মাত্র ৫৮টি ডেলিভারি।

Advertisement

দলীয় ১২ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতনের পর জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭ রান। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মুশফিক ও মিঠুন মিলে এরই মধ্যে ১২৪ বলে যোগ করেছেন ৯৫ রান।

পাকিস্তানি বোলারদের শুরুর দাপট সামাল দিয়ে দুজনই এগিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের অর্ধশতকের পথে। ৫৮ বলে ২ চারের ৪৩ রান করে খেলছেন মিঠুন। শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট করতে থাকা মুশফিক অপরাজিত ৬৭ বল থেকে ৪৯ রান নিয়ে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি চারের মার।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই দারুণ ফ্লিক শটে দুই রান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু সেটি আর ধরে রাখতে পারেননি সৌম্য। শাহীন শাহ আফ্রিদির করা দ্বিতীয় ওভারে কোনো রান নিতে পারেননি লিটন, মেইডেন পান শাহীন।

Advertisement

জুনায়েদ খানের করা তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে বড় শট খেলতে যান সৌম্য। কিন্তু গড়বড় করেন টাইমিংয়ে, বল উঠে যায় আকাশে। স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে লোপ্পা ক্যাচ নেন ফাখর জামান। প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসেন মুমিনুল হক।

পরের ওভারের চতুর্থ বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে দুর্দান্ত এক ফ্লিক শটে ডিপ মিড উইকেট ও মিড অনের মাঝ দিয়ে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান মুমিনুল। কিন্তু পরের বলেই ঘুরে দাঁড়ান শাহীন। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড করেন মুমিনুলকে। ৪ বলে ৫ রান করে ফিরে যান তিনি।

পরের ওভারে সৌম্য-মুমিনুলের পথ অনুসরণ করেন লিটনও। জুনায়েদ খানের মিড স্টাম্পে পিচ করা বল নিখুঁত আউটসুইংয়ে ভেঙে দেয় লিটন দাসের অফস্টাম্প। ১৬ বল খেলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন।

এসএএস/এমএস

Advertisement