মরুভূমির প্রাকৃতিক লীলাভূমি ওমান। দেশটিতে সাত লাখের অধিক বাংলাদেশি বসবাস করছেন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে সাত নম্বরে রয়েছে ওমান। দেশটিতে বেশিরভাগ বাংলাদেশিই কনস্ট্রাকশন কাজে নিয়োজিত।
Advertisement
এছাড়াও কৃষি সেক্টর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান বেশ প্রশংসনীয়। ৭ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির মাঝে হাতেগোনা কয়েকজনের মধ্যে আতিকুজ্জামান একজন সফল বাংলাদেশি।
চাঁদপুর জেলার মতলব থানার এখলাছপুর গ্রামের কৃতি সন্তান আতিকুজ্জামান। ভাগ্য বদলের আসায় ২২ বছর আগে পাড়ি জমান ওমানে। অন্যান্য দশজনের মতো তিনি সাধারণ একজন শ্রমিক হিসেবেই যাত্রা করেন। প্রথমে শেল পেট্রল পাম্পের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তার পদোন্নতি হয় সুপারভাইজার হিসেবে। দীর্ঘ ১৪ বছর তিনি চাকরি করেন একই কোম্পানিতে। এরপর নিজের সততা ও সাহস নিয়ে নেমে পড়েন পেট্রল পাম্পের ব্যবসায়।
কাজে সততা থাকলে পিছে ফিরতে হয় না। তেমনি এ বাংলাদেশি এগিয়ে গেছে দূর-বহুদূর। সাধারণ শ্রমিক থেকে এখন তিনি ২টি পেট্রল পাম্প পরিচালনা করছেন। ওমানের প্রসিদ্ধ শহর আল হিল ও জিফনিন শহরে তার পেট্রল পাম্প রয়েছে। সাধারণত ওমানের সব জায়গাতে শেল পেট্রল পাম্প, ওমান ওয়েল ও আল মাহা পেট্রল পাম্প, এই তিনটি পেট্রল পাম্প কোম্পানিই তেল সাপ্লাই দিয়ে থাকে। একজন বাংলাদেশি দুইটা পেট্রল পাম্প পরিচালনা করছেন। তার এমন সফলতায় গর্বিত ওমান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
Advertisement
আতিকুজ্জামান যেমন একজন সফল ব্যবসায়ী, ঠিক তেমনই একজন সফল অভিভাবকও। তার স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে বেশ সুখে শান্তিতেই আছেন দেশটিতে। একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ তিনি, ছেলে-মেয়েদের স্কুল ছুটি হলেই চলে যান পরিবার নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
তিনি বাংলাদেশ সোস্যাল ক্লাব ওমানের ট্রেজারার হিসেবে দীর্ঘ ৪ বছর সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এমআরএম/এমএস
Advertisement