খেলাধুলা

চার বছর পর মাঠে নেই ‘সাকিব-তামিম’

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুরাঙ্গা লাকমলের বাউন্সারে পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। বাঁ-হাতের ইনজুরি নিয়েই এশিয়া কাপ শুরু করেছিলেন দলের অলরাউন্ডার ও সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু খেলতে পারলেন ৪টি ম্যাচ।

Advertisement

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আঙুলের ইনজুরির সাথে পেরে উঠলেন না সাকিব। আঙুলের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় বাদ পড়ে গেলেন একাদশ থেকে। যার ফলে দেশের সেরা দুই ক্রিকেটারকে ছাড়াই পাকিস্তানের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে খেলতে নামছে বাংলাদেশ।

২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের অভিষেকের পরে সাকিব-তামিম দুজনই খেলেননি এমন ম্যাচের সংখ্যা মাত্র ছয়। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে ছাড়াই সবশেষ ২০১৪ সালের পহেলা মার্চ আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে ম্যাচে ৩২ রানে হেরে গিয়েছিল টাইগাররা।

সবমিলিয়ে 'সাকিব-তামিম' ছাড়া খেলতে নামা আগের ছয় ম্যাচের মধ্যে একটি হয়েছে পরিত্যক্ত, দু’টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হারতে হয়েছে ২০১৪ সালে হওয়া তিনটি ম্যাচে। বাংলাদেশের জয় পাওয়া দুটি ম্যাচই হয়েছিল ২০১৩ সালে।

Advertisement

সাকিব-তামিম ছাড়া খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচটিই ধুঁয়ে যায় বৃষ্টিতে। তবে ফল আসা প্রথম ম্যাচেই জিতেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার মাটিতে সে ম্যাচটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। একই বছর ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিতে নেমে ৩০৭ রান তাড়া করে ৪ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

২০১৪ সালে সাকিব-তামিমকে ছাড়া খেলতে নেমে হেরে যাওয়া তিনটি ম্যাচের দু’টিই ছিল সেবারের এশিয়া কাপের। এশিয়া কাপ শুরুর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। পরে এশিয়া কাপে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সাকিব-তামিমকে ছাড়া খেলতে নেমে ভাগ্যে জোটে হার।

দেশের সেরা দুই তারকাকে ছাড়া সপ্তমবারের মতো খেলতে নামলো বাংলাদেশ দল। দেখার বিষয় জয়ের সংখ্যা তিনে নিতে পারে কি-না বাংলাদেশ। নচেৎ পরাজয়ের সংখ্যা বেড়ে হবে ৪, বাদ পড়তে হবে এশিয়া কাপ থেকে।

এসএএস/জেআইএম

Advertisement