দেশজুড়ে

৩ লাখ টাকা হলেই বাঁচবে সাজ্জাদ

পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। প্রতিদিন যা আয় হতো তা দিয়ে ৩ ভাই, একবোন ও মা-বাবাসহ তাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু এই সুখ বেশি দিন সহ্য হয়নি সাজ্জাদ আলীর (২৮)। কোমরের হাড় ক্ষয় হয়ে ৬ মাস ধরে বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি। টাকার অভাবে চিকিৎসাও করতে পারছেন না।

Advertisement

সিলেট শহরতলির কান্দিগাঁও ইউনিয়নের মাসুকবাজার এলাকার পশ্চিম দর্শার গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলী। চিলেকোঠা একটি ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। বাবা বৃদ্ধ তাই কাজ করতে পারেন না। বড়ভাই মানসিক রোগী তাই তিনিও কাজ করতে পারেন না। নিজের সঙ্গে রেখে ছোট ভাইকে ইলেকট্রিকের কাজ শিখিয়েছিলেন। এখন তার সামান্য উপার্জনে সংসার চলছে। যেখানে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে চিকিৎসার খরচ যোগানো কঠিন। তাই ১৫ দিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে আবার বাসায় ফিরেছেন অসহায় সাজ্জাদ।

সাজ্জাদ জানান, তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন ফুটবল খেলতে গিয়ে কোমরে আঘাত পান, চিকিৎসা করানোর ফলে তা ভালো হয়। ২০০৬ সালে আবার কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতিক শর্ট খেয়ে ১৫ ফুট উপর থেকে মাটিতে পড়ে যান। এরপর চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হন। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে সাজ্জাদের কোমরে নানা ধরনের সমস্যা শুরু হয়। এরপর থেকে ডা. শংকরের কাছে ২০১৮ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন। একটানা চিকিৎসা করতে করতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

অবশেষে ৬ মাস আগে ডা. শংকর ওসমানীতে ভর্তি হতে বলেন। ডাক্তারের কথামত তিনি ভর্তি হন। কয়েকদিন ফ্লোরে থাকার পর কিছু টাকা জোগার করে একটি সিট যোগার করেন। দিনের পর দিন ডা. শংকরের অপেক্ষা করেন কখন তিনি এসে দেখবেন। ১৫ দিন পর ডা. শংকর তাকে দেখেন এবং জানান চেম্বারে যে ওষুধ দিয়েছিলেন তাই চলবে। এ কথা শুনে অসহায় সাজ্জাদ অভিমানে বাড়িতে চলে আসেন।

Advertisement

বর্তমানে তিনি ডা. দিপংকরের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডাক্তার জানিয়েছেন, তার কোমরে জয়েন্ট ক্ষয় হতে হতে শেষ পর্যায়ে এসেছে। তাই অপারেশন করতে হবে এবং এজন্য প্রয়োজন ৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সাজ্জাদের কিনডিতে পাথরও ধরা পড়েছে। 

সাজ্জাদ বলেন, কোনো দয়াবানের সাহায্যে যদি আমার জয়েন্ট ঠিক হয়ে যায় আমি আবার কাজ করতে পারব। আর কাজ করতে পারলে নিজের রোজগার দিয়েই কিডনির চিকিৎসা করতে পারব।

সাজ্জাদের চিকিৎসায় মানবিক চিন্তায় বিত্তশালীদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানিয়েছেন তার বাবা বয়োবৃদ্ধ হাজের আলী।

সাজ্জাদ আলীকে কেউ সহায়তা করতে চাইলে বিকাশ করতে পারেন 01723236946।

Advertisement

ছামির মাহমুদ/আরএ/জেআইএম