বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের ‘সোনার ছেলে’ উপাধি দিয়েছে। ওয়েজ অর্নার্স এর আওতাধীন শ্রমিকরা নানা সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এর অধীনে থাকা শ্রমিকরা মারা গেলে স্বজনেরা বিমানবন্দর থেকে ৩৫ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে ৩ লাখ টাকা পাবেন। তবে মরদেহ দেশে আসার আগে অবশ্যই প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে বলে জানান নুরুল ইসলাম বিএসসি।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, ‘আরো বেশি জনশক্তি মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য সরকারি পর্যায়ে আলোচনা হবে। মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধের যে গুজব রয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের নানা সমস্যা রয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো চিহ্নিত করে আলোচনা করতে।’
সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনে মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের জন্য ওয়েজ অর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য নিবন্ধন উদ্বোধনকালে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মুহা. শহিদুল ইসলাম।
জি-টু-জি-প্লাস পদ্ধতিতে ১০টি এজেন্সির বদলে সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে মালয়েশিয়া সফররত বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দু’দফা বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
Advertisement
এ সময় আরও বক্তব্য দেন- বিএমইটি এর মহাপরিচালক সেলিম রেজা ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা ১ হাজার ১৭৯টি। ২০১২ সালে দুই দেশ শুধু সরকারি মাধ্যমে জি টু জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে চুক্তি সই করে। ২০১৬ সালের তা পরিমার্জন করে ১০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে জি টু জি প্লাসের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের শেষের দিক থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়া গেছেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে জুলাই মাস পর্যন্ত ১ লাখ ৯ হাজার ৫৬২ জন শ্রমিক পাঠায় বাংলাদেশ।
এমআরএম/আরআইপি
Advertisement