কোটা বাতিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ১ম ও ২য় শ্রেণিতে কোটা বাতিলের যে সুপারিশ করেছেন তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
Advertisement
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান স্বমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক সাফকাত মন্জুর বিপ্লব বলেন, বর্তমান সরকার নেতৃত্বে যখন দেশ উন্নয়নশীল দেশে পর্দাপণ করছে, ঠিক সেই মুহূর্ত কিছু লোক সরকারকে কোটা বাতিলের জন্য উসকানি দিচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান খাইরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু কোটা প্রথা চালু করেছিলেন কিন্তু ৭৫ পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালে আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা সঠিক প্রয়োগ হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা ছেলে মেয়েরা চাকরি পায়নি। সে সময় যদি কোটা সঠিক প্রয়োগ হত তাহলে আজ আমাদের রাস্তায় নামতে হতো না।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান অমর শুভ বলেন, সরকারের প্রতি আমার আস্থাশীল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা না রেখে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে কোটা রেখে আমরা কী কেরানি পিয়ন পদে চাকরি করব। যদি কোটা রাখতে হয় সবক্ষেত্রেই রাখতে হবে। বাতিল হলে সবক্ষেত্রে কোটা বাতিল চায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
Advertisement
সভাপতি তারিকুল ইসলাম মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কোটা না রাখার সুপারিশের প্রতিবাদে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। এসব দাবি মধ্যে আছে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কোটা বাতিলের সুপারিশ তুলে নিতে হবে, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জন্য সুনিশ্চিত চাকরির ব্যবস্থা, রাজাকারদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজাকার সন্তানদের চাকরিচ্যুত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির ব্যবস্থা, সামাজিক মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার বিচার করতে হবে। দাবি না মানা হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি তারিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ধীরাজ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে সদস্য মনির হোসেন, নয়ন হোসেন, সাব্বির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরএ/জেআইএম
Advertisement