প্রবাস

‘নো মোর সিদ্দিক’ স্লোগানে উত্তাল নিউইয়র্ক

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকে সরিয়ে নতুন কমিটি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। নিউইয়র্কে ‘নো মোর সিদ্দিক’ স্লোগানে উত্তাল ছিল শেখ হাসিনার সংবর্ধনাস্থল।

Advertisement

জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিউইয়র্কে অবতরণ করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই নিউইয়র্ক সিটির হিল্টন হোটেলের বলরুমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনার আয়োজন করে। জানা গেছে, সংবর্ধনাস্থল থেকেই নেতাকর্মীরা ‘নো মোর সিদ্দিক’ বলে বারবার স্লোগান দিতে থাকেন।

২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এ সময়ের মধ্যেই কমিটির দাবি পূরণ হবে।

যন্ত্রছাড়া জাতীয় সঙ্গীত

Advertisement

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের আগে সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদ হাসান বলেন, ‘অন্যান্যবার হারমোনিয়াম তবলাসহ বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকে। এবার কিছুই নেই। তাই আমাকে খালি গলায় গাইতে হবে এবং আপনাদেরকেও কণ্ঠ মেলাতে হবে।’ এভাবে তিনি আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার প্রতি ইঙ্গিত করেন।

বিরক্ত ছিলেন অতিথিরা

আমন্ত্রিত অতিথিদের বসার জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নজরে পড়েনি। এতে করে ঢাকা থেকে আসা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেকেই বিব্রতবোধ করেন। এমনকি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনেরও আসন হয়নি দর্শক সারিতে। সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার অভাবে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরাও।

ফুলেল শুভেচ্ছা পাননি শেখ হাসিনা

Advertisement

শুরুতে সমাবেশের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ঘোষণা করেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন ৯ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় তিনি তাদের নামও ঘোষণা করেন। একেক সংগঠনের পাঁচজনকে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান তিনি। তবে স্বাভাবিকভাবে সমাবেশ হলেও শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানের পর্বটি বেমালুম ভুলে যান সঞ্চালক। অনুষ্ঠানের নাম দেয়া হয় ‘নাগরিক সংবর্ধনা’। অথচ শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা কিংবা সংবর্ধিত করা হয়নি। এমনকি নাগরিকদের পক্ষ থেকে কারও বক্তব্য দেয়ার সুযোগও ছিল না।

সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এমপি বক্তব্য দেন।

সমাবেশের মঞ্চে বসেছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকেরা। জানা গেছে, তাদেরকে একবারের জন্যেও পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ৩ বছরের অনুমোদিত কমিটির বয়স এখন ৭ বছর। ফলে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্বাভাবিকভাবেই নতুন কমিটির দাবি জানাচ্ছেন। ড. সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বছরের অধিকাংশ সময়ই তিনি রাজধানী ঢাকায় থাকেন। তার বিরুদ্ধে নিজের স্বার্থে অধস্তন নেতাকর্মীদের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ লাগিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে।

এসআর/পিআর