তামিম ইকবাল, তর্কসাপেক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনার। তামিম না থাকা মানেই বাংলাদেশের অনেকটা পিছিয়ে পড়া। তার না খেলা সর্বশেষ ১২ ওয়ানডের ১১টিতেই হার দেখেছে টাইগাররা। তবে চোটের উপর তো কারও হাত নেই। তামিম ছিটকে গেছেন এশিয়া কাপ থেকে। এখন একজনকে তো তার দায়িত্বটা কাঁধে নিতে হবে? কে নেবেন সেই গুরুদায়িত্ব?
Advertisement
তামিম ইকবাল না থাকায় বাংলাদেশের ওপেনিং পজিশন অনেকটাই দুর্বল হয়ে গেছে, তাতে দ্বিমত করার উপায় নেই। লিটন দাসের সঙ্গে নাজমুল হাসান শান্তকে দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু কেউই সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। লিটন তবু সর্বশেষ ম্যাচে কিছুটা আলো ছড়িয়েছিলেন, শান্ত তো খেলেছেন একেবারেই যাচ্ছেতাই।
তিন বছর আগে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে তাদের ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল টাইগাররা। পরিসংখ্যান সাক্ষী দিচ্ছে, ওই সাফল্যের রূপকার ছিলেন তামিমই। তিন ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি (১৩২ ও ১১৬) আর এক হাফ সেঞ্চুরি (৬৪) ছিল তার, যে কারণে হয়েছিলেন সিরিজসেরাও।
এবার তিনি নেই। হাতের কব্জির ইনজুরিতে এশিয়া কাপের বাইরে দেশ সেরা ওপেনার। পাকিস্তান ম্যাচের আগে তাই তার কথাও উচ্চারিত হচ্ছে। তামিমের চওড়া ব্যাটকে মিস করবে টিম বাংলাদেশ। মোহাম্মদ আমির, হাসান আলীর মত বিশ্বমানের তুখোড় ফাস্ট বোলারের বিপক্ষে তামিমের মত সাহসী, আত্মবিশ্বাসী এবং পরিণত উইলোবাজের অভাব অনুভূত হবেই।
Advertisement
ওপেনিংয়ে লিটন-শান্ত দুজনেরই ত্রাহি মধূসূদন অবস্থা। ০, ৯, ৭-এর পর লিটন অবশ্য ৪১ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। তবে শান্ত পারেননি সেটাও। এশিয়া কাপে খেলা তিন ম্যাচে তার ইনিংসগুলো হলো-৬, ৭, ৬। তার চেয়েও দৃষ্টিকটু ছিল তার আউট হওয়ার ধরণ।
তবু আজ একজনকে তামিম হতে হবে। অঘোষিত সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে পা রাখতে যে এর বিকল্প পথ নেই। আর শেষ মুহূর্তে যদি শান্ত বাদ পড়েন, তবে একাদশে ঢুকতে পারেন সৌম্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ১২৭ রানের ইনিংস আছে, সেই রেকর্ড তাকে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী রাখবে।
এআরবি/এমএমআর/পিআর
Advertisement