আগামী শনিবারের (২৯ সেপ্টেম্বর) জনসভার দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও কর্মসূচির কথা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
ফখরুল বলেন, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের জনসভায় আমরা দলের নীতি নির্ধারণী বক্তব্য দেব। ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও কর্মসূচি তুলে ধরবো।
তিনি বলেন, আমরা জনসভার জন্য ২৭ তারিখ (২৭ সেপ্টেম্বর) অনুমতি চেয়ে ছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়- ২৯ তারিখ শনিবার ছুটির দিন সমাবেশ করলে ভালো হয়। সেইভাবে জনসভার অনুমতির জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। কিন্ত এখন ভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। ওদিন নাকি আওয়ামী লীগের কর্মসূচি আছে।
Advertisement
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মতবিনিময় মহানগর নাট্যমঞ্চে আর আমাদের জনসভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে। এখানে ‘বিরুদ্ধের’ সম্পর্কটা কোথায়?
আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার সংঘাতকে উস্কে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
অন্য কোনো দিনের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে কি-না এমন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো ২৯ তারিখ অনুমতি চেয়েছি।’
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের বিএনপির জনসভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন সব বলে দিলে হবে না তো।’
Advertisement
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে ভালো ভালো কথা বলেন কিন্তু ভেতরে থেকে হুমকি দেন। নাসিম সাহেব আটকে দেয়ার কথা বলেছেন, নানক সাহেব হাত-পা ভেঙে দেয়ার কথা বলেছেন- এই হলো তাদের গণতন্ত্রের ভাষা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।
এর আগে জনসভা উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব। যৌথসভায় ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, গাজীপুর, টাঈাইল, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপিসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।
কেএইচ/এমবিআর/আরআইপি