আসন্ন নির্বাচনে নিজ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘ওই আসনে আমার ভাইসহ তিনজনের নাম রয়েছে। তবে এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. ফরাস উদ্দিন ও মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ আর ইউজলেস নেম।’
Advertisement
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হাডিন শেফারের সঙ্গে আলোচনা শেষে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
এর আগে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতে জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তন শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমি প্রার্থী হচ্ছি না, তবে দলের জন্য কাজ করতে চাই, করে যাব।’
Advertisement
আপনার নির্বাচনী আসনে তিনজন প্রার্থীর কথা শোনা যাচ্ছে এ বিষয়ে আপনার মতামত কি- এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘প্রার্থী তো থাকবেই। সেখানে আমার ব্রাদার, ফরাস উদ্দিন ও মেজবাহ উদ্দিন সিরাজের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে ফরাস উদ্দিন ইউজলেস নেম। হ্যাঁ সিরাজ-ফরাস উদ্দিন আর ইউজলেস নেম।’
তিনি বলেন, ‘শেফারের সঙ্গে একটা ভালো আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে ছিল উন্নয়ন ও অর্থের বিষয়। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা আগামীতে আবার ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
এর আগে মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগের। এ সম্পর্ক চলমান থাকবে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন সহায়তার ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। বিপুল ভোটে জয়ী হবে।’
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হাডউই শেফার বলেন, ‘আমরা কক্সবাজার সফর করে এসেছি। সেখানে অবস্থানরত সব রোহিঙ্গার জন্য সাহায্য অব্যাহত থাকবে, যতদিন এটা সমাধান না হয়।’
Advertisement
এর আগে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্ষতির মুখে । জলবায়ুর এ ঝুঁকিতে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাবে ১৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর্থিক দিক দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির পরিমাণ ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মোট জিডিপির ৬ দশমিক ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
এমএ/এনডিএস/আরআইপি