পাকিস্তানের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াই, এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে জয়ের উপরই নির্ভর করছে ফাইনাল খেলা। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তো কারও নিজেকে নিয়ে ভাবার উপায় নেই। চোট আঘাত সবকিছুকেই দূরে ঠেলে মাঠে নিজেকে উজার করে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ টাইগাররা।
Advertisement
খেলোয়াড়দের একটু বাজে পারফরম্যান্সেই সমালোচনা তেড়ে আসতে থাকে বিষমাখানো তীরের মতো। অথচ তারা দলের জন্য, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কতটা পরিশ্রম করেন, কতটা ত্যাগ স্বীকার করেন সে খবর হয়তো অনেকেই রাখেন না।
বাংলাদেশ দলের তথা বিশ্বক্রিকেটেরই এক নাম্বার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার দলে না থাকা মানে বাংলাদেশের অর্ধেক শক্তি কমে যাওয়া। না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাকিব আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন। তবে কিভাবে খেলবেন জানেন? হাতে ইনজেকশন নিয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও খেলতে নামবেন ওষুধ খেয়ে। দুজনই চোটের সঙ্গে লড়ছেন।
সাকিবের সমস্যাটা পুরোনো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ফিল্ডিং করার সময় বাঁ হাতের আঙুলে চোট পান দেশসেরা অলরাউন্ডার। ডাক্তার বলেছেন, অস্ত্রোপচার করাতে হবে। তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি খেলেছেন, ইনজেকশন নিয়েই।
Advertisement
এশিয়া কাপের আগেই সাকিবের অস্ত্রোপচার করানো নিয়ে দো-টানা ছিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্টে তার মতো একজন অলরাউন্ডারকে বাইরে রেখে খেলার ঝুঁকি নিতে চায়নি টাইগাররা। সাকিব তাই এশিয়া কাপে খেলছেন, ইনজেকশনকে সঙ্গী করে। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষেও ইনজেকশন নিয়েই খেলবেন এই অলরাউন্ডার।
মাশরাফির শরীরের অবস্থা তো সবারই জানা। পায়ে সাতটি অস্ত্রোপচার নিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। চাইলেও আগের মতো শক্তি দিতে পারছেন না বোলিংয়ে। এশিয়া কাপে আরব আমিরাতের প্রচণ্ড গরমে স্বভাবতই তার উপর দিয়ে ধকলটাও যাচ্ছে বেশি। মাশরাফি নিজেই দেখিয়েছেন, তার উরুতে কালশিটে দাগ পড়ে গেছে। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। তবে এই যন্ত্রণা নিয়েই খেলার জন্য তৈরি হচ্ছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। খেলার আগে খেয়ে নেবেন ব্যথা কমানোর ওষুধ।
চোট সমস্যা আছে মুশফিকুর রহীমেরও। পাঁজরে মাঝেমধ্যেই ব্যথা অনুভব করছেন। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সেই ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে তার। নেট অনুশীলনে বেশ স্বচ্ছন্দ্য দেখা গেছে তাকে।
পঞ্চপাণ্ডবের একজন-তামিম ইকবাল ছিটকে গেছেন আগেই। বাকি চারজনের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ কেবল মাহমুদউল্লাহই। তবু লড়ে যেতে হবে, তাদের হাতেই যে বাংলাদেশের ফাইনাল ভাগ্য। আরেকটু বড় করে দেখলে চ্যাম্পিয়ন হবার স্বপ্ন। সব ব্যথা বেদনা যে ভুলিয়ে দিতে পারে ওই একটি ট্রফি।
Advertisement
এমএমআর/আরআইপি