ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিবাদের কারণে বছরে দু'দেশে বাণিজ্যিক ক্ষতি হচ্ছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দু'দেশের শীর্ষ নেতারা নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ থেকে দ্রারিদ্য দূর করতে বাণিজ্যের বিস্তার করতে চান তারা। তাই দু'দেশকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।
Advertisement
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩৭ বিলিয়ন ডলার হতে পারে যদি দিল্লি ও ইসলামাবাদ সব ধরনের বিরোধ মিটিয়ে নেয়।
গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানিয়েছে, জাতিসংঘের সম্মেলনে আলাদা করে পাকিস্তানের অনুরোধে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবে। এরআগে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের লাহোরের বাড়িতে গিয়েছিলেন আলোচনার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তারপরেও দু'দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি।
গত শুক্রবার কাশ্মিরে নতুন করে সহিংসতার ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেয় ভারত। এদিকে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আগ্রহ জানিয়েছেন নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানিয়েছেন, এই সুসম্পর্ক চাওয়ার পেছনে উপমহাদেশের জনগণকে দারিদ্র থেকে মুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে। এজন্য দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হওয়া দরকার।
Advertisement
রোববার সরকারি কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে ইমরান খান বলেন, তাদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে। যখন আমরা বন্ধুত্ব চাই তার অর্থ হচ্ছে- আমরা উপমহাদেশের জনগণকে দারিদ্র থেকে বের করে আনার ইচ্ছা পোষণ করছি। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যও আবার চালু করতে হবে। এটা নিয়ে কারো ভুল বোঝা উচিত হবে না। একে দুর্বলতা হিসেবেও দেখা ঠিক হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
টিটিএন/পিআর